সারেগামাপা-য় শ্রদ্ধা-ভালোবাসা জানানো হল কেকে-কে। ৩১ মে মারা গিয়েছেন বলিউডের এই গায়ক। কলকাতার নজরুল মঞ্চে গেয়ে যান শেষ গান। দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে দেড় মাসেরও বেশি সময়। কিন্তু অসময়ে গায়ককে হারানোর যে বেদনা তৈরি হয়েছে মানুষের মনে তা এখনও কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি।
কেকে প্রসঙ্গে কিশোর পুত্র অমিত কুমার সারেগামাপা-র মঞ্চ থেকে জানালেন, ‘৬ মে আমরা একসঙ্গে দুবাইতে পারফর্ম করি। বিশাল শেখর আমাদের গাইয়ে ছিল ঝঙ্কার বিটসের জন্য হামে তুমসে প্যায়ার কিতনা। সেই প্রথম ওর সঙ্গে আমার আলাপ। আমাকে দেখলেই বলত, আপনার বাবার থেকে আমি অনুপ্রেরণা পেয়েছি। আর আমি বলতাম, ইয়ার আমার বাড়িতে তো আসো। ওর ফোন নম্বরও নিয়েছিলাম। ও চলে গেল। এখন শুধু ফোন নম্বরটাই থেকে গেল।’
সুরকার শান্তনু মৈত্র জানালেন, কেরিয়ারের শুরুতে তিনি কীভাবে পাশে পেয়েছিলেন কেকে-কে। বললেন, ‘আমার কয়েকটা বাড়ির পাশেই থাকত কেকে। তখন আমি মিউজিক কম্পোজিশন করি না। একটা চাকরি করি। যখন কম্পজিশন শুরু করলাম, ছোটখাটো জিঙ্গল বানানো শুরু করলাম, আমার হাতেখড়ি দিয়েছিল ছিল কেকে। আমাকে প্রথম মিউজিক স্টুডিয়োতে নিয়ে গিয়েছিল কেকে। নিজের কিবোর্ড দিয়েছিল আমাকে। আমার প্রথম জিঙ্গল কেকে গিয়েছিল। গায়ক কেমন সেটা তো সবাই জানি। কিন্তু মানুষটা কেমন তা আমার থেকে ভালো কেউ জানবে না। আমার পাশে সবসময় ছিল কেকে।’
গায়িকা রিচা শর্মা বললেন, ‘কেকে একমাত্র গায়ক যে কখনও দেখনদারি করত না। না সোশ্যাল মিডিয়ার শখ ছিল, না পার্টিতে যেত, না অ্যাওর্ড শো-তে। ওঁর দুনিয়া ছিল ওর পরিবার, ওর গান। আমার সঙ্গে যখনই দেখা হত, একমাত্র উনি আমাকে দেখলেই তুই করে কথা বলতেন…’