সারেগামাপায় এসেছিলেন ক্যালকাটা ব্লাইন্ড স্কুলের ছাত্রী অহনা। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ জনপ্রিয় এই কন্যে। এবার তাঁর গান মুগ্ধ করল সকলকে। প্রশংসায় ভরালেন বিচারকরা। তবে বিশেষ করে দর্শকদের মন কাড়ে রাঘব চট্টোপাধ্যায়ের করা মন্তব্য।
সারেগামাপা-তে গান গাওয়ার অভিজ্ঞতা কেমন জানতে চাইলে, জবাব আসে, ‘আমি কখনো ভাবতেই পারিনি, জি বাংলার সারেগামাপার মতো বড় জায়গায় গাওয়ার সুযোগ পাব। আমার এখানে এসে নিজেকে খুব ভালো লাগছে। সবাই ভাবে আমরা অন্ধ বলে কিছু করতে পারি না। কিন্তু মনের চোখ দিয়ে নিজের মতো করে সমস্ত কিছু কল্পনা করতে পারি। এই যে এত বড় মঞ্চে আমি দাঁড়িয়ে। সেটাও আমি নিজের মতো করে কল্পনা করেছি, স্টেজটা এরকম দেখতে।’
বিচারকদের মন্তব্য শোনার আগে, চলুন দেখে নেওয়া যাক আরাত্রিকা আর অহনার যুগলবন্দির এক ঝলক-
‘এই যে তুমি বললে ইশ্বর তোমাকে ভিতরের চোখটা দিয়েছে, সেটা কিন্তু আমাদের নেই। একদিক থেকে ভালোই হয়েছে। এখন বাইরেটা খুব ময়লা আর ধূসর। না দেখাই ভালো।’, অহনার উদ্দেশে বলে ওঠেন ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত।
তবে রাঘব চট্টোপাধ্যায়ের বলা কথা আলাদা করে মন ছুঁয়ে নিয়েছে সকলের। তিনি বলেন, ‘জোর সময় তো এখন, তাই দুর্গা ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করব, যে তোমাদের মতো বলিষ্ঠ কণ্ঠ-মানসিকতা যেন সব মেয়ের হয়। আমি বিশ্বাস করি, নো উওম্যান নো লাইফ। অহনাকে অনেক ভালোবাসা। তোমার অন্তর্দৃষ্টি যেন আরও বলিষ্ঠ হয়।’
আরও পড়ুন: বিয়ের পর মুসলিম হওয়া ভিভিয়ান ডিসেনা থেকে শেহজাদা-শিল্পা, বিগ বস ১৮-তে এলেন কারা
জি বাংলার তরফে এই এপিসোডের ঝলক শেয়ার করা হলে, মন্তব্য আসে, ‘রাঘবের বলা কথা অসাধারণ। মনের ভিতরে গেঁথে গেল যেন’!
কৌশিকী চক্রবর্তী রাঘবের সুরেই অহনার প্রশংসা করে বলেন, ‘আমার যিনি গুরু, আমার বাবা, তাঁর প্রথম গুরু যিনি ছিলেন শ্রী কানাইদাস বৈরাগী, তিনি চর্মচক্ষে দেখতে পেতেন না। কিন্তু আমাদের সম্পূর্ণ পরিবারকে তিনি গানের রাস্তা দেখিয়েছিলেন ওই অন্তর্দৃষ্টি দিয়েই। জানি না আমরা অতটা স্পষ্ট করে দেখতে পাই কি না! চেষ্টা করি। ’