সারেগামাপা খ্যাত অনন্যা চক্রবর্তীর স্বপ্নপূরণ হল। নিজের সঞ্চিত অর্থে বাড়ি কিনে দিলেন তাঁর মাকে। গৃহপ্রবেশের বেশ কিছু ছবি পোস্ট করে আবেগঘন পোস্ট লিখলেন গায়িকা।
আরও পড়ুন: জয়ার ফোন এলেই নার্ভাস হয়ে পড়েন অমিতাভ! বললেন, 'বাংলায় কথা বললে বোঝার ভান করি, কিন্তু আদতে...'
কী পোস্ট করলেন অনন্যা?
অনন্যা চক্রবর্তী এদিন তাঁর গৃহ প্রবেশের একাধিক ছবি পোস্ট করেন। তাঁকে এদিন ঘিয়ে রঙের একটি ঢাকাই শাড়ি পরে থাকতে দেখা গিয়েছে, লাল রঙের ব্লাউজ দিয়ে। মা সহ পরিবার, বন্ধু বান্ধবদের সঙ্গে খুশির দিনটি কাটান। গৃহপ্রবেশের এই ছবিগুলো পোস্ট করে সারেগামাপা খ্যাত গায়িকা জানান এই সাফল্য তাঁর একার অর্জিত নয়। আরও অনেকের অবদান আছে তাতে।
অনন্যা এদিন তাঁর পোস্টে লেখেন, 'চারদিকে যখন বিয়েবাড়ির রমরমা তখন এই নিম্নমধ্যবিত্ত ঘরের প্রাপ্তবয়স্ক ভাড়াটে এই মেয়েটি বিয়ে না করে, তার উপার্জনের টাকা দিয়ে তার মাকে একটি বাড়ি উপহার দিতে পেরেছে। না, একা পারিনি। আমার একলা working women মায়ের আদম্য ইচ্ছে আর কঠোর পরিশ্রম, আমার প্রথম শিক্ষা গুরুমা শ্রীমতী শুভ্রা সেনগুপ্ত মহাশয়া আমাকে গান শিখিয়ে গেছেন আটটা বছর বিনা পারিশ্রমিকে, আমার দ্বিতীয় সাধন গুরু শ্রী সাধন দাস বৈরাগী গুরুজি সাধনার পথে অগ্রসর করানোর জন্য, মামবাড়ির প্রত্যেকটি মানুষকে যারা আমাদের কঠিনতম সময়ে আমাদের মৃত্যু থেকে বাঁচিয়েছেন, সবসময় নিজের স্বপ্ন গুলো পূরণ করবার সাহস যুগিয়েছেন, জি বাংলা সারেগামাপার মঞ্চ, জি টিভি হিন্দি সারেগামাপার মঞ্চ, যারা না থাকলে আমার গান কারুর কাছে পৌঁছতেই পারত না, আমার বোহেমিয়ান বাউলের প্রত্যেকটি সদস্য যারা এখনো প্রতি মুহূর্তে আমাকে লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার থেকে বাচিয়ে চলেছেন তাঁদের সবার জন্য সম্ভব হয়েছে।' তিনি আরও লেখেন, 'তাঁদের সবাইকে, সঙ্গে আমার সকল বন্ধু শুভকাঙ্ক্ষীরা এখনও যেভাবে সাপোর্ট করে চলেছেন , সকল ইভেন্ট অরগানাইজার ও মিউজিক প্রডিউসাররা সবসময় আমাকে গান গাইবার সুযোগ করে দেন বা দিচ্ছেন, সমস্ত শ্রোতারা যারা আমার অনুষ্ঠানে গান শুনতে আসেন সকলকে আমার প্রণাম, আদর আমার উপর বিশ্বাস রাখার জন্য।'
পরিশেষে অনন্যা চক্রবর্তী লেখেন, 'তোমরা ছিলে, আছো বলেই এসব, আমি পেরেছি তোমরাও পারবে। যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে? তবে….'
কে কী বলছেন?
এক ব্যক্তি লেখেন, 'তোমার আরও উন্নতি হওক, ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি।' আরেকজন লেখেন, 'নেক অনেক শুভেচ্ছা, এগিয়ে যাও আরও… এই আনন্দের দিনে তোমার পিছনের পথটাকে যেভাবে স্মরণ করেছ তাতে তোমার দরাজ কন্ঠের মতো দরাজ হৃদয়ের ছোঁয়া পেলাম।' তৃতীয় জন লেখেন, 'জীবনে সুন্দর ভাবে এগোতে থাকো এই কামনা করি।'