সম্প্রতি প্রতিযোগিদের সঙ্গীতের পাঠ দেওয়া নিয়ে নেটপাড়ার আতসকাচের তলায় সারেগামাপা-র বিচারকরা। দিন কয়েক আগে সপ্তপর্ণীর পারফরম্যান্সের সমালোচনা করে তোপের মুখে পড়েছিলেন বিচারক অন্তরা মিত্র। গত শনিবারের এপিসোডে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠল বনশ্রী-সুস্মিতা জুটির পারফরম্যান্স। আরও পড়ুন-বাদ সপ্তপর্ণী!‘নিজেকে শ্রেয়া ঘোষাল ভাবছে..’, প্রতিযোগির ‘ভুল’ ধরানোয় অন্তরাকে তুলোধনা নেটপাড়ার
এদিন ইমন-রাঘবের টিমের বনশ্রী এবং কৌশিকি- ইন্দ্রদীপের টিমের সুস্মিতা একসঙ্গে গোষ্ঠগোপল দাস বাউলের জনপ্রিয় গান ‘গুরু না ভজি মই সন্ধ্যা সকালে’ পরিবেশন করে। অতি পরিচিত এই বাউল গান গেয়ে বিচারকদের মন জয় করতে ব্যর্থ দুজনেই। একটু বেশি হতাশ করলেন বনশ্রী।
শান্তনু মৈত্র সরাসরি বনশ্রীকে বলেন, ‘পারফরম্য়ান্সটা বেশি হয়ে গেছে, অভিনয়টা বেশি হয়ে গেছে’। একই সুরে সুর মেলান জোজো, কৌশিকিরাও। ইমন এরপর জানান, ‘আমি একটা জিনিস বাড়িতে প্র্যাক্টিস করি। এটা তোরা করতে পারিস। গ্রুমারদের থেকে গানটার যে লয়টা তার তো একটা টেম্পো রয়েছে একটা মাপ (মাত্র) রয়েছে….সেটা মেট্রোনোমে সেট করবি। দিয়ে বারবার প্র্যাক্টিস করবি। বলবি বারবার মেট্রোনামে, তারপর গাইবি। তবে হবে গানটা’।
এরপরই ইমনের বোঝোনোর ভঙ্গিমার সঙ্গে অন্তরার বোঝানোর ধরণ নিয়ে তুলনা টানেন নেটিজেনরা। একজন লেখেন, ‘বোঝানোর ভঙ্গিমাটাও ভালো অন্তত অপমান তো করলো না। বুঝিয়ে বলল। অন্তরারটা অপমানজনক’।' কিন্তু কটাক্ষের মুখে পড়েন ইমনও। নেপথ্যে ‘তুই-তোকারি’। এক নেটিজেন লেখেন, ‘এতবড় শো-এর জাজ। এমন তুই-তোকারি কেন করে? অসভ্য সব বিচারক’। আরেকজন লেখেন, ‘তুই-তোকারি কালচারটা নেওয়া যায় না’।
এই নিয়ে অবশ্য ইমনের হয়ে কথা বলেছেন অনেক ভক্ত। একজন পালটা প্রশ্ন করেন, ‘আপনাকে আপনার বাবা-মা,শিক্ষক কেউ কোনোদিন ভালোবাসে তুই ডাকেনি’। অনেকের মতেই ইমন যথেষ্ট আন্তরিকতা এবং ভালোবাসা দিয়ে বুঝিয়েছেন। এই নিয়ে বাড়তি আলোচনা নিষ্প্রয়োজন।
বিতর্কিত পারফরম্যান্স শেষে বিচারকদের থেকে যথাক্রমে ২৪ পয়েন্ট করে পায় বনশ্রী ও সুস্মিতা। ডেঞ্জার জোনে গেলেও এই সপ্তাহে এলিমিনেশন হয়নি। তাই এখনও শো-তে টিকে রইলেন দুজনেই।