জমে উঠেছে সারেগামাপা-র লড়াই। চলতি সিজনের প্রত্যেক প্রতিযোগী নিজের মতো করে মুগ্ধ করেছেন দর্শক থেকে বিচারকদের। তবে প্রতিযোগিদের পাশাপাশি আরও একজনের প্রতিভায় নজর কাড়ছে সারেগামাপা-র মঞ্চে। তিনি শো-এর প্রধান গ্রুমার তথা মিউজিক অ্যারেঞ্জার রথীজিৎ ভট্টাচার্য।
সারেগামাপার মঞ্চই পরিচিতি দিয়েছে রথীজিৎ-কে। বাংলা সারেগামাপায় তাঁর দুর্দান্ত কাজের সুবাদেই গত বছর মুম্বই থেকেও ডাক এসেছিল রথীজিৎ-এর। হতাশ করেননি সঙ্গীতশিল্পী। এবার রথীজিৎ-এর ঢালাও প্রশংসা করলেন বিচারক অন্তরা মৈত্র। ‘গেরুয়া’ গায়িকা পাশ্চাত্য সঙ্গীতের আইকন লুডভিগ ফন বেঠোফেন-এর সঙ্গে রথীজিৎ-এর তুলনা টেনে তাঁকে ‘বাংলা বেঠোফেন’ তকমা দিলেন।
সারেগামাপা-র সদ্য শেষ হওয়া সপ্তাহে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পূজা পর্যায়ের গান পরিবেশন করে ‘খুদে কমরেড’ আরাত্রিকা। ভক্তিমূলক পর্বে বাঁকুড়ার ভাদুলের মেয়ের গলায় শোনা গেল ‘আনন্দলোকে’। এই বহুল প্রচলিত রবীন্দ্রসঙ্গীত যেভাবে সাজিয়ে তুলেছিলেন রথীজিৎ তা এই গানকে একদম অন্যমাত্রা দিল। পিয়ানোয় আরাত্রিকাকে সঙ্গত দেন রথীজিৎ নিজে।
এই এপিসোডে বিশেষ অতিথি হিসাবে হাজির ছিলেন কুমার শানু। আরাত্রিকার গান শুনে তিনি বলেন, ‘ফ্যান্টাসটিক….এমন একটা সুন্দর পরিবেশ তৈরি হয়েছিল…রথীজিৎ দুর্দান্ত অ্যারেঞ্জমেন্ট’। শানুদার কথা ধার করে অন্তরা বলেন, ‘আমাদের সবার প্রাপ্তি এই লোকটা (ইশারা রথীজিৎ-এর দিকে) এদেরকে গ্রুম করে। একজনের গান ছোটবেলায় আমার বাবা আমাকে অনেক শুনিয়েছেন। তিনি বেঠোফেন। এই লোকটা বাংলার বেঠোফেন, রথীজিৎ। অপূর্ব… অ্যামেজিং… প্রতিবার মন্ত্রমুগ্ধের মতো তোমার কাজগুলো শুনছি। আমরা যে কতটা সমৃদ্ধ হচ্ছি বলে বোঝাতে পারব না’।
আরাত্রিকার এই গান মনোরঞ্জন নয়, আত্মরঞ্জন- বললেন বিদূষী কৌশিকি চক্রবর্তী। জোজো ও জাভেদ আলির টিমের সদস্যা আরাত্রিকা। এই সপ্তাহে গোল্ডেন গিটার-সহ ৩০ নম্বর পেয়ে সেফ জোনে চলে গিয়েছে সে।
আরও পড়ুন-'খুদে কমরেড' আরাত্রিকার গানে ক্লিন বোল্ড কুমার শানু,সৃজিতা-ঐশীর চমক সারেগামাপা-য়
জীবনের গান গাওয়া আরাত্রিকা সিজনে শুরু থেকেই রীতিমতো সাড়া ফেলেছে। তিন বছর বয়স থেকে স্টেজ পারফরম্যান্স করছে সে। গত ৬ বছর ধরে কলকাতার শ্রুতিনন্দনে গানের তালিম নিয়েছে আরাত্রিকা। ছোট থেকেই বাবা-দাদুকে বাম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকতে দেখেছেন। বাম ও গণনাট্য আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত আরাত্রিকার বাবা, সৌম্য সিনহা। গণসঙ্গীতের উপর তাঁর আকর্ষণ বরাবরের, তার হাত ধরেই এবার এত বড় মঞ্চে পৌঁছেছে ভাদুলের মেয়ে। তাঁর গানে মুগ্ধ বৃন্দা করাতও। প্রসঙ্গত, এই সপ্তাহে সারেগামাপা-র মঞ্চ থেকে কোনও প্রতিযোগিই বিদায় নেয়নি।