সারেগামাপা-র সুবাদে গোটা বাংলায় অতি পরিচিত নাম অ্যালবার্ট কাবো। এই রিয়ালিটি শো-এর মঞ্চে ট্রফি জিততে না পারলেও সকলের মন জিতে নিয়েছেন কাবো। কালিম্পংয়ের এই ভূমিপুত্রর গানে মুগ্ধ সবাই। এবার দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চে হাজির কাবো। সঙ্গী তাঁর স্ত্রী পূজা ছেত্রী।
দুর্দান্ত গানের গলার পাশাপাশি কাবোর জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ তাঁর হ্যান্ডসাম লুকস। তরুণী হৃদয়ে তির চালানো এই গায়ক যে বিবাহিত তা সারেগামাপা-র মঞ্চেই জানা গিয়েছিল। সেখানে স্ত্রী-কন্যাকে হাজির করেছিলেন কাবো। এবার রচনার গেম শো-এর ‘সানডে ধামাকা’ পর্বে দেখা মিলল এই মিষ্টি জুটির। হিন্দি ভাষী কাবো একের পর এক বাংলা গান গেয়ে সারেগামাপা-র মঞ্চে চমকে দিয়েছিলেন। গায়কের এই গুণ দেখে মুগ্ধ রচনাও।
এদিন কাবোর উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, ‘তুমি তো বাংলা জানোই না, তাহলে বাংলা গান এত সুন্দরভাবে গাও কী করে?’ জবাবে কাবো জানালেন, ‘রট্টা মারনা পড়তা হ্যায়… মুখস্থ, মুখস্থ।’ হ্যাঁ, বাংলা গানের লিরিক্স মুখস্থ করেই তা মঞ্চে পেশ করেন কাবো। তবে তাঁর উচ্চারণ যথেষ্ট সাবলীল। এদিনও রচনার সামনে ‘কি নামে ডেকে বলবো তোমাকে’র মতো আইকনিক বাংলা গান পেশ করলেন গায়ক।
বরের গান শুনে অটুট পূজার মুখের হাসি। লাল-হলুদ শাড়িতে একদম বাঙালি সাজে ঝলমল করলেন তিনি। অন্যদিকে হালকা সবুজ শার্টের উপর নীল রঙা চেক ব্লেজার চাপিয়ে হাজির হয়েছিলেন কাবো, সঙ্গে ব্লু ডেনিম। রচনার দেখা মিলল কালো রঙা ভারী সিল্ক শাড়িতে।
প্রোমো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হতেই মন্তব্যের বন্যা। অনেকেই অবাক হয়ে লেখেন, ‘ওর বিয়ে কবে হল?’ আরেকজনের প্রশ্ন, ‘আচ্ছা সারেগামাপা-র সময়ও কি ও বিবাহিত ছিল?’
প্রসঙ্গত, সারেগামাপা ২০২২-২৩-এর রানার্স আপ আগে টুরিস্ট গাইড হিসাবে কাজ করতেন। কোনওদিনই প্রকৃত প্রশিক্ষণ নেওয়া হয়নি গানের, তবে রাতের অন্ধকারে বর্ন-ফায়ারের আসরে কাবোর গান শুনে মুগ্ধ হয়নি এমন কেউ ছিল না। সবার পরামর্শ মেনেই সারেগামাপা-র অডিশন দেন কাবো, আর এখন পুরোপুরি বদলে গিয়েছে তাঁর জীবন।
হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গায়ক জানান স্ত্রী পাশে না থাকলে এই সাফল্য অর্জন করতে পারতেন না তিনি। কাবো বলেছিলেন, ‘শুরু থেকেই আমার স্ত্রী,পূজা আমাকে খুব সাপোর্ট করেছে। ও না থাকলে আমি এতদূর আসতে পারতাম না’। আট মাস কাবো যখন সারেগামাপা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, তখন একরত্তি মেয়েকে একাই সামলেছেন পূজা।