এই সপ্তাহে সারেগামাপার মঞ্চে রবীন্দ্র সঙ্গীত বিশেষ পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে গত রবিবার। সেখানেই জাভেদ আলি আমারও পরাণ যাহা চায় গানটি গেয়ে শোনান। আর সেই পর্বের ঝলক প্রকাশ্যে আসতেই মুগ্ধ নেটপাড়া। প্রশংসার বন্যায় ভাসছে কমেন্ট বক্স।
আরও পড়ুন: উৎসবে 'না', এদিকে পুজো নিয়ে কনটেন্ট বানাচ্ছেন বং গাই! কিরণকে তুলোধোনা তৃণমূল ছাত্র নেত্রীর
কী ঘটেছে সারেগামাপার মঞ্চে?
এদিন জাভেদ আলি সারেগামাপায় আমার পরাণ যাহা চায় তুমি তাই গো গানটি গান। যেভাবে গানটির পুরো ভাবে তুলে ধরে, স্পষ্ট উচ্চারণে গাইলেন গানটি তিনি সেটা শুনে রীতিমত মুগ্ধ হয়েছেন নেটনাগরিকরা। এদিন জাভেদ আলিকে সঙ্গত দেন খোদ ইমন চক্রবর্তী। তিনি সিন্থেসাইজার বাজান। এদিন জাভেদ আলি যখন পারফর্ম করছিলেন তখন তাঁর সঙ্গে গুনগুন করে অন্তরা মিত্রকেও গাইতে দেখা যাচ্ছিল।
চ্যানেল কর্তৃপক্ষের তরফে সেই গানের ঝলক পোস্ট করে লেখা হয় 'সবার প্রিয় শিল্পী জাভেদ আলির কণ্ঠে রবীন্দ্রসঙ্গীতে মাতোয়ারা সারেগামাপা-র মঞ্চ! আপনাদের জন্য রইল সেই অসাধারণ উপস্থাপনা।'
কে কী বলছেন?
এক ব্যক্তি লেখেন, ‘এতো সুন্দর করে অনেক বাঙালী গায়কও গাইতে পারবে কিনা সন্দেহ... হৃদয় স্পর্শ করে যাওয়ার মতো।’আরেকজন লেখেন, 'কয়েকজন অবাঙালি গায়কের এত সুন্দর করে অতি যত্ন নিয়ে ও দরদভরা রবীন্দ্রসঙ্গীত গান যে কী বলি। আর সেখানে বেশ কিছু বাঙালি প্রসিদ্ধ সঙ্গীতশিল্পীর ইচ্ছে মতো বিকৃত করে রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইবার প্রবণতা বিনষ্ট হওয়া উচিৎ ৷ ওঁর রবীন্দ্রসঙ্গীতের যথাসাধ্য নিখুঁত ভাব বজায় রাখাকে আমি একজন অখ্যাত বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী হয়ে কূর্ণিশ জানাই।' তৃতীয় ব্যক্তি লেখেন, 'আমার খুব প্রিয়। তাঁর গান যেমন দরদপূর্ণ, কথাবার্তায়ও তেমনি অসম্ভব অমায়িক। বিচারকের আসনে তিনি শান্তনু ও কৌশিকির মতোই আমার কাছে গুরুত্ব বহন করে।' চতুর্থ জন লেখেন, 'খুব সুন্দর। শব্দগুলো এত পরিষ্কার মনে হচ্ছিল জাভেদজি যেন বাঙালি।'
সারেগামাপা প্রসঙ্গে
এবারের সারেগামাপাতে কোনও মেন্টর নেই। আছেন ৮ জন বিচারক। এবারের সারেগামাপার এই ৮ বিচারক হলেন শান্তনু মৈত্র, অন্তরা মিত্র, ইমন চক্রবর্তী, রাঘব চট্টোপাধ্যায়, ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত, কৌশিকী চক্রবর্তী, জোজো মুখোপাধ্যায়, জাভেদ আলি। এঁরা ৮ জন মিলে বানিয়েছেন মোট ৪টি দল। মোট ৩১ জন প্রতিযোগীকে নিয়ে শুরু হয়েছিল এই শো। আবির চট্টোপাধ্যায় রয়েছেন এই শোয়ের সঞ্চালক হিসেবে।