বরাবরের মতোই এবারেও সারেগামাপা-র বিজয়ী নিয়ে নানা বিতর্ক। দেয়াশিনী রায়কে অনেকেই মানতে পারছেন না! কেউ আরাত্রিকাকে এগিয়ে রাখছেন, কেউ ময়ূরীকে, তো কারও মতে বিজেতা হওয়া উচিত ছিল সাঁই-এর। আবার কেউ কেউ তো ফেসবুকে লেখালিখি করছেন, টাকা দিলেই নাকি জিতে নেওয়া যায় রিয়েলিটি শো।
এবার মুখ খুললেন সারেগামাপা-জয়ী দেয়াশিনী রায়। আজকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘টাকা দিয়ে উইনার হওয়ার ক্ষমতা আমার পরিবারের একেবারেই নেই’।
আরও পড়ুন: ‘আমার হাতটা মুচড়ে এভাবে…’! প্রিয়াঙ্কা এবার জানালেন ‘অসুস্থ প্রেম’ সায়ন্ত কীভাব তোলেন তাঁর গায়ে হাত
এরপর দেয়াশিনী আরও বলেন, ‘একটা রিয়েলিটি শো-তে কত খরচ! আমার বাবা একজন মিউজিশিয়ান, কোথায় পাবেন উনি এত টাকা। যারা এসব বলেন, তাঁদের একটাই কথা বলব, একটু ভেবেচিন্তে কথাগুলো বলুন। আমার জার্নিটা কখনোই খুব একটা সহজ ছিল না। আমাকে আর আমার মাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ৩ বাচ্চার বাবা, ২বার ডিভোর্স, কী দেখে ৬০ বছরের আমিরের প্রেমে পড়লেন? জবাব গৌরীর
সারেগামাপা ২০২৪ পেয়েছে যৌথ বিজেতা। ছোটদের মধ্যে থেকে অতনু ও বড়দের মধ্যে থেকে দেয়াশিনী জেতেন ট্রফি। বড়দের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে যৌতভাবে ময়ূরী-সাঁই। তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন সত্যজিৎ। পাহাড়ি ছেলে আরিয়ান কোনও স্থান পাননি। তবে আরাত্রিকা পান কালিকাপ্রসাদ অ্যাওয়ার্ড। আর ছেটদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে আছে ঐশী। তৃতীয় স্থানে অনীক। সৃজিতা চতুর্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডান্স বাংলা ডান্সে অডিশন দিলেন কলকাতা পুলিশের লেডি কনস্টেবল সায়ন্তী, সিলেক্ট হলে চাকরি ছাড়বেন?
এর আগে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দেয়াশিনী জানান, ‘ফার্স্ট অডিশনেই হোল্ডে চলে যাই। তখন তো আশাও করিনি যে এই জায়গায় যাব! বা এমন একটা দিনও আসতে পারে। তখন শুধু ভেবেছি, কীভাবে আরেকটু ভালো করে পরের পর্বে যাব। সেই সময় লড়াইটা অনেকটাই ছিল। আর যখন বিজেতা হিসাবে আমার নাম ঘোষণা হল, তখন সকল বিচারকরাই মঞ্চে এসেছিলেন। আইডি স্যার (ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত) আমায় বলেছিলেন, ‘দেয়াশিনী, সেই হোল্ডিং জোনে যাওয়া থেকে বিজেতা হওয়া, এটা যদি মনে রাখতে পারো, তাহলেই নিজের একদিন লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে।’
এর আগে ২০১৩ সাল নাগাদ সারেগামাপা লিটল চ্যাম্পসে ভাগ নিয়েছিলেন। ছিলেন লাভ মি ইন্ডিয়া কিডস নামের একটি শো-তেও। ভাগ নেন সুপার সিঙ্গারেও। তবে কোনোটাতেই জয় আসেনি। অনবরত চেষ্টা আর অধ্যাবসাই পাঠিয়েছে দেয়াশিনীকে আজকে এই জায়গায়।