করোনার করাল গ্রাসে পড়ে বাংলা বিনোদন জগত প্রচুর ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। পিছিয়ে গিয়েছে শ্যুটিং থেকে ছবি মুক্তির দিনক্ষণ। পুজোয় একগুচ্ছ বাংলা ছবি মুক্তি পেলেও তেমন দর্শক টানতে ব্যর্থ, তাই বেগতিক দেখে তিলোত্তমা ও শহরতলির একাধিক সিঙ্গল স্ক্রিন থিয়েটার ফের তালাবন্ধ। তবে এর মাঝেই মুক্তি পাচ্ছে ‘ছবিয়াল’। শাশ্বত-শ্রাবন্তী নতুন জুটির দেখা মিলবে এই ছবিতে। ছবির পরিচালক মানস বসু।
আগামী ১১ ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে ‘ছবিয়াল’। ছবির চমক নায়ক-নায়িকার টি। এই প্রথম শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় এবং শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় একসঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করবেন। টলিউড পাবে এক নতুন জুটিকে।
‘ছবিয়াল’-এর গল্প একেবারে আলাদা রকমের। হাবুল একজন ফটোগ্রাফার। হাবুলের ভূমিকায় রয়েছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। সে পয়সার বিনিময় শ্মশানে আসা মৃতদেহগুলির ছবি তোলে। শ্মশানের স্টুডিয়োর ঘরে হাবলের দিন কাটে ক্যামেরা, কম্পিউটার এসবের সঙ্গেই।
আচমকা একদিন হাবলের জীবনে প্রেম আসে। সবার চোখের আড়ালে নিজের প্রেমকে লুকিয়ে রাখল হাবল, বিয়ে করল,সংসার পাতল। কিন্তু হাবলের স্ত্রীকে কেউ চেনে না, কেউ জানে না। এমনকি দেখতও পায় না। হাবলের মনে মনে কথা বলা দেখে তাঁকে চিকিত্সকদের কাছে নিয়ে যায় বন্ধুরা। জানা যায়, নেক্রোফিলিয়া আক্রান্ত সে। শুরু হয় চিকিৎসা। তবে নিজের মায়াবী প্রেম লাবণ্যকে বাঁচানোর জন্য বদ্ধ পরিকর হাবল। এই ভিন্ন রকম মায়াবী প্রেমের কাহিনি নিয়েই ছবিয়াল।
পরিচালক মানস বসুর কথায়, হুগলির বিভিন্ন গ্রামে হয়েছে ‘ছবিয়াল’-এর শ্যুটিং। শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের মতো একজন মেথডিক্যাল অভিনেতার সঙ্গে কাজ করতে পেরে তিনি অনেক কিছু শিখতে পেরেছেন। পাশাপাশি শ্রাবন্তীর মতো তথাকথিত কমার্শিয়াল ছবির হিরোইনকে ছবিয়ালে একদম অন্যরকমভাবে দেখতে পাবেন দর্শক জানিয়েছেন পরিচালক। অভিনেত্রী নিজেও খুব এক্সাইটেড এই ছবি নিয়ে। শ্রাবন্তীর কেরিয়ারের একদম অন্য ধারার ছবি ছবিয়াল।
ছবির মিউজিক পরিচালনায় মেঘ বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা আবহে বেশ কয়েকবার মুক্তি পিছিয়ে এই ছবির।প্রযোজক মিলন দত্ত এবং পরমহংস চিত্রমের প্রযোজনায় এই ছবি মুক্তি পেতে চলেছে আগামী ১১ ডিসেম্বর।