৮০-৯০এর দশকে বাংলা ছবির দুনিয়ায় জনপ্রিয় অভিনেত্রী তিনি। বহু ছবিতে অভিনয় করেছেন, যার তালিকাটা কিন্তু বেশ লম্বা। যদিও বর্তমানে তিনি অভিনয় জগত থেকে অনেক দূরে, চুটিয়ে রাজনীতি করছেন। বীরভূম থেকে গত তিনবার লোকসভা নির্বাচনে সাংসদ নির্বাচিত হয়ে হ্যাট্রিক করেছেন। হ্য়াঁ, ঠিকই ধরেছেন, ইনি আর কেউ নন, শতাব্দী রায়। আবার ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই সন্তানের মা। স্বামী মৃগাঙ্ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শতাব্দীর এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। নাম সাম্যরাজ বন্দ্যোপাধ্যায় (তোজো), মেয়ে সামিয়ানা বন্দ্যোপাধ্যায় (জুমি)।
শত ব্যস্ততার মধ্যেও ছেলে-মেয়েকে যথেষ্ঠ সময় দেন প্রাক্তন অভিনেত্রী, রাজনীতিবিদ শতাব্দী রায়। কাজের ফাঁকে যতটা পারেন তোজো ও জুমির সঙ্গে সময় কাটাতে চেষ্টা করেন তিনি। ১৪ নভেম্বর শিশুদিবসে মেয়ে সামিয়ানার সঙ্গে এক্কেবারেই অন্যরকম ভূমিকায় ধরা দিলেন শতাব্দী রায়। দলীয় পার্টি অফিসে কাজের ফাঁকে মেয়ের চুল বেঁধে দিতে দেখা গেল তাঁকে। চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে সামিয়ানার লম্বা চুলে বেনী করে দিতে দেখা গেল শতাব্দীকে। সাংসদ-অভিনেত্রী নিজেই ফেসবুকের পাতায় সেই ভিডিয়ো রিল আকারে পোস্ট করেছেন Happy Childrens Day ক্যাপশানে। ভিডিয়োর সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন 'লোরি লোরি' গানটি।
প্রসঙ্গত বর্তমানে শতাব্দী কন্যা সামিয়ানার বয়স ১০ বছর। বালিগঞ্জ এলাকার মর্ডান হাই স্কুলের ছাত্রী সে। তাঁর ছেলে সাম্যরাজ অবশ্য মেয়ের থেকে বেশ খানিকটা বড়। বহুবার নিজের ছেলেমেয়ে ও স্বামীর সঙ্গে ফেসবুকের পাতায় ছবি পোস্ট করতে দেখা গিয়েছে শতাব্দী রায়কে।
আরও পড়ুন-কিংবদন্তী অভিনেত্রীর মেয়ে! ছোটবেলার ছবিতে বলিপাড়ার এই দুই সেলেব বোনকে চিনতে পারছেন?
১৯৮৬ সালে তপন সিনহার 'আতঙ্ক' ছবিতে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বিপরীতে শতাব্দী রায়ের অভিনয় জীবনে অভিষেক হয়। পরবর্তী সময়ে তাপস পালের বিপরীতে অসংখ্য বাংলা ছবিতে অভিনয় করেছেন শতাব্দী। তাঁর অভিনীত প্রথম হিন্দি ছবি জ্যোতি স্বরূপ পরিচালিত 'নয়া জহর'।
শতাব্দী যখন অভিনেত্রী হিসাবে উঠে আসছেন, সেসময় টালিগঞ্জে দেবশ্রী রায়ের প্রবল প্রতাপ ছিল। তার মধ্যেও নিজের জায়গা করে নেন শতাব্দী। ১৯৮৭ সালে অঞ্জন চৌধুরীর পরিচালনায় ‘গুরু দক্ষিণা’ ছবিতে তিনি তাপস পালের বিপরীতে অভিনয় করেন। যেটি ছিল ব্লকবাস্টার। আর এই ছবিই তাঁর অভিনয় কেরিয়ার বদলে দেয়।