রাজনৈতিক অবস্থানে তিনি বামপন্থী, এমন কথা সকলেরই জানা। বিভিন্ন সামাজিক ইস্যু নিয়ে এবং শ্রমজীবী মানুষের পক্ষে নানা কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিতই বলেন সৌরভ পালোধি। এহেন নাট্যব্যক্তিত্ব এবং পরিচালক এবার সরব গণেশ পুজো প্রসঙ্গে।
বুধবারই ছিল গণেশ চতুর্থী। গোটা দেশের অন্যতম বড় উৎসব এটি। হালে বাঙালিদের মধ্যেও বেড়েছে গণেশ পুজোর উদ্যাপন। এখন গণেশের বারোয়ারি পুজোও হচ্ছে। একই সঙ্গে বেড়েছে গণেশ পুজো নিয়ে শুভেচ্ছাবার্তা বা কার্ড পাঠানোর প্রবণতা। এই শুভেচ্ছাবার্তার প্রেরকের তালিকায় না থাকলেও প্রাপকের তালিকায় থেকেছেন সৌরভ। আর তাতেই রীতিমতো বিরক্ত তিনি। সেটিই জানিয়েছেন ফেসবুকে।
সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মটিতে কী লিখেছেন তিনি। সৌরভের কথায়, ‘তোমাকে গণেশ পুজোর শুভেচ্ছা জানাই’, এই মেসেজে ছয়লাপ। রীতিমতো বিরক্তি প্রকাশ করে তিনি লিখেছেন, ‘এটা দেখাও বাকি ছিল।’
তাঁর বক্তব্যে পরিষ্কার এই ঘটনা তিনি মোটেই ভালোভাবে নেননি। তবে এখানেই থেমে যাননি। তিনি লিখেছেন, ‘অকারণ জিনিসপত্র না করে দুটো ব্লাড ডোনেশন তো করতে পারে।’
এর পরেই তাঁর বক্তব্যের কমেন্ট বক্সে মতামতের বন্যা বয়েছে। কেউ কেউ যেমন তাঁর এই বক্তব্যকে পূর্ণ সমর্থন করেছেন, কেউ কেউ আবার তেড়ে গালও দিয়েছেন তাঁকে। বিশেষত গণেশ পুজো নিয়ে যাঁদের আবেগ রয়েছে, তাঁদের অনেকেই সৌরভকে একহাত নিয়েছেন কমেন্ট বক্সে এসে।
যদিও তাতে বিন্দুমাত্র দমে যাননি সৌরভ পালোধি। তিনিও সুবিধামতো উত্তর দিয়েছেন বহু মতামতেরই। নিজের পোস্ট-টি তিনি শেষ করেছিলেন এই লিখে যে, প্রথম কমেন্টেই কেউ লিখবেন, অন্য সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠান নিয়ে এসব বলতে পারব কি না। সে কথাও পরে কমেন্ট বক্সে উঠে এসেছে প্রসঙ্গক্রমে।
এর আগেও নানা বিতর্কে জড়িয়েছিলেন সৌরভ। গত বছর কৌশিক করকে নিয়েও একটি বিতর্কের মধ্যে পড়েন তিনি। কৌশিক বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে তাঁকে নিজেদের নাটকের দল থেকে বার করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল সৌরভের বিরুদ্ধে। যদিও সৌরভ বলেছিলেন, তাঁদের দলের সকলেই বামপন্থী। তাই বিজেপিতে যোগদানের পরে কৌশিকের সঙ্গে তাঁদের মতাদর্শগত সমস্যা হবে বলেই সকলে মিলে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া। কৌশিক তাঁদের বন্ধুই থাকবেন। যদিও এ সবের পরেও বিতর্ক থামেনি।