সায়ন্ত মোদক ও কিরণ মজুমদারের বিচ্ছেদ নিয়ে বর্তমান সময়ে যে জলঘোলা হচ্ছে, তা কারওরই আর অজানা নয়। চলতি মাসেই খবর আসে, কিরণের সঙ্গে সায়ন্তের সম্পর্ক ভাঙার খবর আসে সামনে। আর অভিযোগে উঠে আসে বিস্ফোরক সব অভিযোগ। কিরণ জানান, হঠাৎ করেই যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন সায়ন্ত। শুধু তাই, সম্পর্কের আরও কিছু ‘টক্সিক’ জিনিস আসে সামনে। প্রেমিকাদের ‘সম্মানহানি’, ‘মারধর’, ‘ইন্যের টাকায় দামি জিনিস কেনা, ঘুরতে যাওয়া’-র মতো সায়ন্তকে নিয়ে আরও নানা ব্যাপারও আসে সামনে। অভিনেতা-ভ্লগারের নামে শুধু কিরণ নয়, এই অভিযোগগুলি করেন দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায়, প্রিয়াঙ্কা মিত্রও। এই তিন অভিনেত্রীর সঙ্গেই সম্পর্কে ছিলেন সায়ন্ত। শুধু তাই নয়, তিন জনকে নিয়ে ভ্লগও বানাতেন।
ইতিমধ্যেই দেবচন্দ্রিমার কাছ থেকে সায়ন্তর কাছে বার্তা গিয়েছিল, তাঁর কাছে থাকা কিরণের মাইক আর ড্রোন ফিরিয়ে দিতে হবে। না দিলে, তিনি সায়ন্তর বিরুদ্ধে কিছু প্রমাণও আনবেন বলে ‘হুমকি’ দিয়েছিলেন। ২৪ ঘণ্টা সময়ও বেঁধে দিয়েছিলেন দেবচন্দ্রিমা! সেই সময়ের মধ্যে না হলেও, সায়ন্তর কাছ থেকে কিরণের সম্পত্তি অবশেষে এল দেবচন্দ্রিমার বাড়িতে। নিজের ভ্লগে সেকথা জানালেনও অভিনেত্রী।
একটি ভিডিয়োবার্তায় দেবচন্দ্রিমাকে বলতে শোনা যায়, ‘ধন্যবাদ আপনি ফিরিয়ে দিয়েছেন। এগুলো তো লোকের জিনিস। যাক কিছু তো অন্তত ভালো লাগল। এবার শুধু আরেকটা অনুরোধ, আমার সঙ্গে ভিডিয়োগুলো ডিলিট করে দিন। এতক্ষণে নিশ্চয়ই আপনার কাছে আমার মেল গেছে বা ইউটিউব থেকে নোটিফিকেশন গেছে।’
দেবচন্দ্রিমা জানান, সায়ন্তর চ্যানেল ‘কনফিউজড বক্স’-এ থাকা তাঁর ভিডিয়ো, যা বানানো হয়েছিল বছরচারেক আগে, যখন তিনি আর সায়ন্ত সম্পর্কে ছিলেন, সেগুলো ডিলিট করার জন্য নোটিস পাঠিয়েছে তাঁর টিম। দেচন্দ্রিমা এদিন ভিডিয়ো নিয়ে আরও বললেন, ‘আমার ভিডিয়োগুলো আমি আপনার চ্যানেলে দেখতে চাই না। এরপর আমার জীবনেও কেউ থাকবে। আমারও একটা ফ্যামিলি তৈরি হবে। আমি চাই না, তাদের জীবনে কোনোভাবে এটা প্রভাব ফেলুক। বুঝতেই পারছেন, ছোট বয়সে আমরা অনেক ভুল করে থাকি। এখন হলে অনেক সতর্ক থাকতাম।’
এরপর দেবচন্দ্রিমার আক্ষেপ, ‘আপনি এখন কনটেন্ট হয়ে গিয়েছেন। আমার বলতে খারাপ লাগছে, আপনি মানুষদের কনটেন্ট বানাতেন। এখন আপনি সকলের কনটেন্ট হয়ে গেছেন। আমার ভালো লাগছে না। একসময় তো আপনাকে ভালোবসতাম। সবাই বলছে, কীভাবে এই ৩টে মেয়ে এই ছেলেটার সঙ্গে প্রেম করেছে! মানছি আমার ভুল। তাও ভালো লাগছে না আপনার সঙ্গে যা হচ্ছে তা দেখতে।’
দেবচন্দ্রিমা এর আগে ভিডিয়োতে জানিয়েছিলেন, মলদ্বীপে ঘুরতে গিয়েছিলেন যখন তাঁরা, একটা টাকাও দেননি সায়ন্ত। এমনকী, ট্রাভেল এজেন্টের বিল মেটানোর ভয়তে, আসার পর থেকে সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। খরচ হয়েছিল ৩ লাখ। সেই টাকা এর আগে ফেরত চাইলেও, এবারের ভিডিয়োতে দেবচন্দ্রিমা স্পষ্ট করলেন, কোনো টাকা আর চান না। কারণ, যা করেছিলেন ভালোবেসে করেছিলেন। তাই দাম চান না আর। প্রাক্তন সায়ন্তের কাছে এখন একটাই দাবি, কনফিউজড বক্স চ্যানেল থেকে ডিলিট করতে হবে সব ভিডিয়ো।