নির্বাচনী প্রচারের সময় বাঁকুড়াবাসীকে সুখে-দুঃখে পাশে থাকবার আশ্বাস দিয়েছিলেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। অল্পের জন্য নির্বাচনী লড়াইয়ে হারলেও তাঁর আশ্বাস যে শুধু মুখের কথা ছিল না তা প্রমাণ করে দিচ্ছেন এই টলি নায়িকা। এই উঠতি রাজনীতিবিদ বাঁকুড়ার আম জনতার জন্য যা কাজ করছেন তা বিধায়কের চেয়ে কম নয়, এমনও মত এলাকাবাসীর।বাঁকুড়াবাসীদের জন্য অক্সিজেন, খাবার এবং সেফ হোমের ব্যবস্থা করলেন তিনি। করোনায় সাধারণের সেবায় এগিয়ে এলেন এই অভিনেত্রীও। এবার আচুলি অঞ্চলের বাদুলারা গ্রামের করোনা আক্রান্ত ২১টি পরিবারের দায়িত্ব নিলেন সায়ন্তিকা। তাঁদের অসুস্থতার খবর জানা মাত্রই পৌঁছে দিয়েছেন সবরকমের খাদ্যদ্রব্য। আক্রান্তদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় ওষুধেরও ব্যবস্থা করেছেন ভোটে পরাজিত এই প্রার্থী।
দিন কয়েক আগেই বাঁকুড়ার মানুষের জন্য সায়ন্তিকা নিয়ে এসেছেন ‘দুয়ারে অক্সিজেন’ পরিষেবা। হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করলেই অক্সিজেন পৌঁছে যাচ্ছে করোনা আক্রান্তের বাড়িতে। ভোটে হেরেও যে উদ্যম নিয়ে কাজ করছেন সায়ন্তিকা তাতে হতবাক অনেকেই। এব্যাপারে এক সাক্ষাত্কারে অভিনেত্রী বলেন, ‘মাত্র ৭৩৫ ভোটে হেরেছি আমি। তা হেরে গিয়েছি বলে কী কাজ করব না? তবে হ্যাঁ, জিতে গিয়ে পদটা পেলে কাজ করতে সুবিধা হত’।
কিছুটা আক্ষেপ, আর অনেকটা আত্মবিশ্বাসের সুরেই যোগ করলেন, ‘এখন নির্বাচন হলে হয়ত আমাকে জেতানোর জন্য মানুষের কাছে অনুরোধটুকুও আর করতে হত না, এমনই মানুষ ভোট দিত’।
দিন কয়েক আগেই বাঁকুড়ায় ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত ব্যাক্তির জন্য দুর্লভ ইঞ্জেকশন জোগাড় করে জেলা শাসকের সাহায্যে যা রোগীর ঠিকানায় পৌঁছে দেন সায়ন্তিকা। কোভিড আক্রান্তদের জন্য একটা অস্থায়ী হাসপাতালেও বন্দোবস্ত করবার চেষ্টা চালাচ্ছেন অভিনেত্রী। এই মুহূর্তে করোনার জেরে বন্ধ কোনও স্কুলে অন্তত ২০-২৫ শয্যার একটি হাসপাতাল তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে সায়ন্তিকার। অভিনেত্রী বলেন, ‘সেখানে অক্সিজেন এবং স্যালাইন দেওয়ার ব্যবস্থা করব। এমন পরিকাঠামো গড়ে তুলব, যেখানে রোগীর আপৎকালীন চিকিৎসার ব্যবস্থা করা সম্ভব।’
তবে সায়ন্তিকা শুধু বাঁকুড়াবাসীর জন্যই কাজ করছেন তেমনটা নয়, কলকাতার দুঃস্থ মানুষ, পথ কুকুরদেরও খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন নিজের হাতে। প্রয়োজনে ভোর থেকে উঠে নিজের হাতে রান্নাও করছেন।