অভিনেত্রী স্কার্লেট জোহ্যানসন সোমবার জানান, একটি ওপেনএআইতে তাঁর কন্ঠস্বর ব্যবহার করার জন্য একটি কোম্পানি তাঁকে অনুরোধ করেছিল, তবে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। কিন্তু তার সত্ত্বেও তাদের নতুন ChatGPT-এর চ্যাটবটের জন্য অভিনেত্রীর কন্ঠ স্বরের একেবারে অনুরূপ একটি স্বর ব্যবহার করা হয়েছে। স্কার্লেট জোহ্যানসন 'স্কাই' নামক ওই AI সংস্থাটিকে ভয়েসটি সরিয়ে নেওয়ার কথা জানানোর কয়েক ঘন্টার মধ্যে তাঁর সঙ্গে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আনেন।
তিনি বলেন, "অল্টম্যান গত সেপ্টেম্বরে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন এবং একটি চ্যাট জিপিটি ভয়েসের জন্য আমাকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু আমি তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। এর নয় মাস পর, আমার বন্ধুবান্ধব, পরিবার এবং অনেকেই আমাকে জানান 'স্কাই'তে আমার মতো একটা কন্ঠস্বর শোনাচ্ছে।" তিনি আরও বলেন "যখন আমি সেটি শুনি, তখন অবাক হয়ে যাই। পাশাপাশি রাগও হতে শুরু করে। যে মিঃ অল্টম্যান শেষে এমনটা করলেন। কণ্ঠস্বরটার আমার সঙ্গে এত টাই মিল যে কাছের বন্ধুরাও এর পার্থক্য বলতে পারেনি।"
আরও পড়ুন: ভোটের আগে দেবের গোপন তথ্য ফাঁস করলেন রুক্মিণী! ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই ভাইরাল
এরপরই ওপেনএআই-এর সিইও স্যাম অল্টম্যান সোমবার রয়টার্সকে ইমেল করে একটি বিবৃতি দেন। যেখানে বলা হয়েছে যে 'স্কাই'-এর কণ্ঠটি অভিনেত্রী স্কার্লেট জোহ্যানসনের অনুকরণ নয়, এটি অন্য এক পেশাদার অভিনেত্রীর কন্ঠস্বর। তিনি বলেন "স্কাই-এর ভয়েসটি স্কার্লেট জোহ্যানসনের নয়, এবং এটি কখনই তার কণ্ঠস্বরের সঙ্গে মিল রেখেও বানানো হয়নি। আমরা মিসেস জোহ্যানসনের কাছে আউটরিচের আগেই 'স্কাই'-এর কন্ঠের জন্য অন্য এক অভিনেত্রীকে কাস্ট করি।"
আরও পড়ুন: ‘আরভকে আটকাতে পারিনি…’, কী করল অক্ষয়ের ছেলে? কেন এমন বললেন অভিনেতা?
তিনি আরও বলেন, "মিসেস জোহ্যানসনের প্রতি সম্মানের জন্য, আমরা ওই ভয়েসটি 'স্কাই'-এর জন্য ব্যবহার করা বন্ধ করে দিয়েছি। আমরা মিসেস জোহ্যানসনের কাছে ক্ষমা প্রার্থী। পাশাপাশি আমরা দুঃখিত যে আমরা বিষয়টি নিয়ে তাড়াতাড়ি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি।"
পাশাপাশি জোহ্যানসন বলেন, "যে অল্টম্যান 'হার'(Her) নামের একটি ছবির সঙ্গে এই ঘটনাটির তুলনা করেছেন। ২০১৩ সালের মুক্তি পাওয়া এই সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছিল, একজন ব্যক্তি একটি এআই সহকারী তৈরি করে তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে, সেখানে এআই সহকারীর কন্ঠস্বর ছিল এক অভিনেত্রীর মতো। তবে ওপেনএআই সংস্থাটির বিষয়ে জানানোর বহুক্ষণ পরও যখন সংস্থা নায়িকার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি, তখন তিনি আইনি পদক্ষেপের কথা ভাবছিলেন।
বর্তমানে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কণ্ঠস্বর এবং বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও নিয়ে হলিউডের বিভিন্ন স্টুডিও নতুন নতুন বিনোদনের মাধ্যম তৈরি করছে। আর তা তৈরি করতে ব্যবহার করছে AI। আর সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হল কোনটি দিয়ে বানানো আর কোনটি আসল তা আলাদা করা কঠিন হয়ে পড়ছে।