সুশান্ত মামলার সঙ্গে জড়িত মাদককাণ্ডে রিয়া চক্রবর্তীর জামিনের শুনানি শেষ হল সেশন কোর্টে। তবে আজ রাও বাইকুল্লা জেলেই কাটবে সুশান্ত মামলার মূল অভিযুক্তর। শুনানি শেষ হলেও আজ রায় ঘোষণা করল না সেশন কোর্ট। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো এবং অভিযুক্তদের আইনজীবীদের দীর্ঘ সওয়াল-জবাব শেষে আজ রায় সংক্ষিত রাখল স্পেশ্যাল এনডিপিএস আদালত। আগামিকাল, শুক্রবার রিয়া, শৌভিক সহ এই মাদককাণ্ডে ধৃত বাকি অভিযুক্তদের জামিনের রায় দেবে আদালত।
এনডিপিএস আইনের আওতায় ৮ (সি), ২০ (বি), ২৭ (এ), ২৮, এবং ২৯ নম্বর ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে রিয়া চক্রবর্তীকে। জামিনের আবদনে সতীশ মানেসিন্ধে জানান তাঁর মক্কেল ‘নির্দোষ’ এবংং ২৮ বছরের এই অভিনেত্রীকে ‘এই মামলায় মিথ্যা ফাঁসানো হচ্ছে’। তিনি যোগ করেন ‘উনি কোনওরকম অপরাধ করেননি’।
জামিনের আবেদনে রিয়া বলেছেন, অপরাধমূলক স্বীকারোক্তি দেওয়ার জন্য তাঁকে জোর করা হয়েছিল এবং ৮ সেপ্টেম্বর দাখিল করা নিজের জামিনের আবেদনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ধরনের সমস্ত অপরাধমূলক স্বীকৃতি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আবেদনকারী।
যদিও নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর তরফে রিয়া ও শৌভিকের জামিনের বিরোধিতা করা হয়। জানানো হয়, এঁরা প্রভাবশালী, তাঁরা বাইরে এলে তদন্ত ব্যাহত হবে।
রিয়ার বিরুদ্ধে এনডিপিএস আইনের ২৭ (এ) ধারা যুক্ত করা হয়েছে। এই ধারার জেরেই মঙ্গলবার ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে রিয়ার জামিনের আর্জি খারিজ হয়। এই ধারায় দোষ প্রমাণ হলে কমপক্ষে ১০ বছরের সাজা হয়। এই ধারার জেরেই মঙ্গলবার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রিয়ার জামিন না-মঞ্জুর করা হয়। কোনও ধারায় যদি ১০ বছর বা তার বেশি সাজা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে সেই মামলায় জামিন মঞ্জুর করবার জুরিসডিকশন নেই ম্যাজিস্ট্রেটের। ২৭ (এ) ধারায় কমপক্ষে ১০ বছর, এবং সর্বাধিক ২০ বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে।
এদিন রিয়ার আইনজীবী বারবার আদালতকে জানান রিয়ার বাড়ি থেকে কোনও মাদক উদ্ধার হয়নি, এবং রিয়া ড্রাগ নিতেন এর কোনও প্রত্যক্ষ প্রমাণ নেই। তিনি আরও যোগ করেন জেলে রিয়ার জীবন সংকটে রয়েছে। এমনকি এনসিবির পুরুষ অফিসাররা কোনও মহিলা অফিসারের উপস্থিতি ছাড়া রিয়াকে জেরা করেছে সেই অভিযোগও জানানো হয় রিয়ার আইনজীবীর তরফে।