কঙ্গনা রানাওয়াতকে চড় মারার ঘটনায় কয়েকদিন ধরেই হইচই পড়ে গিয়েছে। তবে ঘটনা ঘিরে বলিউড কেন নিরব? প্রশ্ন তুলেছিলেন কঙ্গনা নিজেই। তবে এবার কঙ্গনাকে চড় মারার ঘটনায় মুখ খুললেন অভিনেতা অনুপম খের, শাবানা আজমি, শেখর সুমন ও তাঁর ছেলে অধ্যয়ন সুমন-সহ একাধিক বলিউড তারকা।
কী বলছেন শাবানা আজমি, অনুপম খের?
সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল X-(টুইটার) শাবানা আজমি লেখেন, ‘কঙ্গনা রানাওয়াতের জন্য আমার আলাগা করে কোনও ভালোবাসা নেই। কিন্তু থাপ্পড় মারার বিষয়টি ঠিক সমর্থন করতে পারলাম না। নিরাপত্তারক্ষীই যদি নিজের হাতে আইন তুলে নিতে শুরু করে তাহলে তো আমরা কেউই নিরাপদ থাকতে পারব না।’
অনুপম খের বলেন, ‘মুঝে বারা আফসোস হুয়া। এক মহিলা কে সাথ এক মহিলা কে দ্বারা জো আপনে পজিশন কা ফায়েদা উঠাকর ইস তরহা কি হরকাত কি, বিলকুল গলত হ্যায়। ইস্কি কানুনি করওয়াই হোনি চাহিয়ে। উনকা কোইভি রোশ হ্যায়, ম্যায় ইয়ে নেহি কেহ রহা হুঁ কে ইনকা রোশ নেহি হো সকতা জিসনে আয়েসা কিয়া, কিন্তু ইয়ে আপনে আউধে কা ইয়া পজিশন কা ফায়েদা উঠাকর নেহি করনা চাহিয়ে।’ অর্থাৎ অনুপমের কথার বাংলা করলে দাঁড়ায়, ‘একজন মহিলা হয়ে কীভাবে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে আরেকজন মহিলাকে চড় মারতে পারেন! এটা অন্যায়, এটার আইনি পথে তদন্ত করা উচিত। কারোর কোনও বিষয়ে অভিযোগ থাকতেই পারে, তবে ক্ষমতার সুযোগ নিয়ে এটা করা উচিত নয়।’
আরও পড়ুন-'কঙ্গনাকে যিনি চড় কষিয়েছেন, সেই CISF জওয়ানকে আমি চাকরি দেব', একী বললেন বিশাল দাদলানি!
অনুপম খের আরও বলেন, ‘অতীতে কঙ্গনা যা বলেছেন তার প্রতিবাদের জন্য গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আছে। তবে এমন কিছু করা অত্যন্ত দুঃখজনক ও দুর্ভাগ্যজনক। আর এটা শুধু কঙ্গনা এখন একজন সাংসদ বা অভিনেত্রী বলে নয়, কঙ্গনা একজন নারী। সেটাও যদি বাদ দি, তাহলেও আমি মনে করি, কারও প্রতিই হিংসাত্মক আচরণ ঠিক নয়। তাহলে তো ভবিষ্যতে যে কেউ যা খুশি করবে, পরে অজুহাত দেখাবে। এটা ভীষণই অন্যায়'।
শেখর সুমন এবং তাঁর ছেলে অধ্যয়ন কী বলছেন?
শেখর সুমন এবং তাঁর ছেলে অধ্যয়ন সুমনও কঙ্গনার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, শেখর বলেন, ‘ওহ গলত হ্যায়, ওতো বহুত গলত হ্যায়। বহুত হি দুর্ভাগ্যপর্ণ হ্যায়। অ্যায়সা কিসি কে সাথ নেহি হোনা চাহিয়ে।’ অর্থাৎ 'এটা দুর্ভাগ্যজনক। এটা কারও সঙ্গে হওয়া উচিত নয়। এমনটা করার অধিকারও কারো নেই। তিনি যা করেছেন তা অন্যায়। এর জন্য দোষীর শাস্তি হওয়া উচিত। ওর জওয়ানের কোনও মনে রাগ বা প্রতিবাদ থাকতেই পারে, তবে উনি সেটা যেভাবে প্রকাশ করেছেন, সেটা ঠিক নয়। এটা খুবই ভুল ছিল। এটাও ভদ্রভাবে বলা যেত... এভাবে কারও গায়ে হাত তোলা যায় না। শেখর যখন কথাগুলি বলছিলেন, তখন পাশে দাঁড়িয়ে সম্মতিসূচকভাবে মাথা নাড়তে দেখা যায় অধ্যয়ন সুমনকেও।
কঙ্গনার সঙ্গে ঠিক কী ঘটেছিল? হিমাচল প্রদেশের মান্ডি থেকে কঙ্গনা সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার দু'দিন পরে ঘটনাটি ঘটে। কঙ্গনাকে চড় মারেন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে এক CISF- মহিলা কনস্টেবল। ঘটনার পর ওই দোষী কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয় এবং তাঁর বিরুদ্ধে FIR দায়ের করা হয়।