মঙ্গলবার রাজস্থানের উদয়পুরে ঘটে হাড়হিম করা ঘটনা। দরজির মুণ্ডচ্ছেদের ঘটনায় তোলপাড়, যা দেখে স্থম্ভিত গোটা দেশ। এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে একাধিক বলিউড তারকা। এই নির্মম হত্যাকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলিউডের প্রবীণ অভিনেত্রী শাবানা আজমি। উদয়পুর হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করেছেন তিনি।
উদয়পুর কাণ্ডে উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়াও। এই নৃশংস ঘটনায় কড়া নিন্দা করে টুইট করেছেন শাবানা আজমি। দোষীদের আইনের আওতায় এনে কড়া শাস্তির দাবি করেছেন। অভিনেত্রী টুইটে লিখেছেন, সমাজে এই ধরনের সহিংসতার কোনও জায়গা নেই। এ ভাবেই দরজি কানহাইয়া লাল হত্যাকাণ্ডে দোষীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শাবানা।
ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন উরফি জাভেদ, দেবলীনা ভট্টাচার্যের মতো একাধিক তারকারা। উদয়পুর হত্যাকাণ্ড নিয়ে শাবানা আজমির এই প্রতিক্রিয়ার পর নেটিজেন তাঁর পোস্টে বিভিন্ন মতামত প্রকাশ করেছে। এক নেটিজেনের মন্তব্য, ‘শাবানা আজমি আপনার সঙ্গে একমত। এই অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তি দেওয়া উচিত।’ অপর এক নেটিজেনের মন্তব্য, ‘আপনি বলেননি কে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী, তার নাম কী। স্পষ্ট করে বলুন।’
আরও পড়ুন: ‘আল্লাহ তোমাকে তার নামে ঘৃণা ও হত্যা করতে বলেননি’, উদয়পুর কাণ্ডে মুখ খুললেন উরফি
প্রসঙ্গত, পয়গম্বর নিয়ে মন্তব্যে বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার বক্তব্য সমর্থন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন কানহাইয়া লাল নামের এক দরজি। এরপরই তাঁর দোকানে ঢুকে তাঁকে নৃশংস ভাবে হত্যা করে দুই আততায়ী। ঘটনার ভিডিয়ো তুলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তারা।
ওই দুই আততায়ীর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দাবি করেন, এই হত্যা 'ইসলামের অবমাননার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য' এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে খুনের হুমকি দিয়েছেন তাঁরা। নূপুর শর্মার মুণ্ডচ্ছেদেরও হুমকি দেয় দুই হত্যাকারী।
গত ১৭ জুন কানাহাইয়া লালকে খুনের হুমকি দিয়ে ভিডিয়ো প্রকাশ করে এক অভিযুক্ত রিয়াজ আটারি। সেই ভিডিয়োটি ফেসবুক এবং উদয়পুরের বিভিন্ন হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপে ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। ‘লাইভ হিন্দুস্তান’-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেই ভিডিয়োর প্রেক্ষিতে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন কানাহাইয়া লাল। পুলিশি নিরাপত্তা চেয়েছিলেন।
হুমকি পাওয়ার পর ছয়দিন দোকানও খোলেননি। মঙ্গলবারই প্রথম দোকান খুলেছিলেন। এ দিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ ধানমণ্ডি এলাকার ওই দরজির দোকানে ঢোকে অভিযুক্ত দুই যুবক মহম্মদ রিয়াজ আখতার ও মহম্মদ গোশ। শুরুতে নিহত দরজির কাছে জামার মাপ দেয়। এরপরই ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই ব্যক্তির মাথায় ও গলায় আঘাত করে। তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করে।