জাভেদ আখতারের সঙ্গে দাম্পত্য জীবনের ৪০ বছর পার করে ফেলছেন শাবনা আজমি। বলিউডের অন্যতম সুখী দম্পতি হলেও মাতৃত্বের সুখ পাননি শাবানা। শারীরিক জটিলতার কারণে সন্তান ধারণ করতে পারেননি শাবানা। ২০২৪ দাঁড়িয়েও সন্তান ধারণে অক্ষম নারীদের নীচু চোখে দেখা হয়। সেই নিয়ে গর্জে উঠলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী।
আত্মমর্যাদাবোধ নিয়ে শাবানা আজমি
এক সাক্ষাৎকারে শাবানা বলেছেন, একজন পুরুষের সাফল্যের মাপকাঠি তার কেরিয়ার ও কাজ। তবে মহিলাদের ক্ষেত্রে সে স্ত্রী, মা বা কন্যা হিসাবে কতটা সফল, সেটাই তাঁর মাপকাঠি। তিনি আরও বলেছিলেন যে সন্তানের জন্ম দিতে না-পারার জন্য সমাজ যে মহিলাদের 'অসম্পূর্ণ' বোধ করায় তাদের বোঝা উচিত যে আত্মমর্যাদা কাজ থেকেই আসে।
তিনি বলেন, ‘সন্তান ধারণ করতে না পারার বিষয়টি মেনে নেওয়া কঠিন। সমাজ আপনাকে অসম্পূর্ণ বলে দেগে দেবে। এ থেকে নিজেকে বের করে আনতে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। তবে আপনার চূড়ান্ত আত্মমর্যাদাবোধটি অবশ্যই আপনার কাজ থেকে আসতে হবে। নারীরা প্রায়ই তাদের সম্পর্ক থেকে আত্মমর্যাদা পরিমাপ করে - কীভাবে তারা স্ত্রী, মা কিংবা কন্যা হিসাবে সফল.. একজন মানুষের জন্য এটি সাফল্যের সঠিক মাপকাঠি নয় - বরং তার কেরিয়ার, তার কাজ যা তাকে সবচেয়ে বেশি সন্তুষ্টি দেয়। আমি মনে করি, এটা সব লিঙ্গের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হওয়া উচিত।’
সন্তান ধারণে অক্ষম হওয়ার বিষয়ে
শাবানা মা না হতে পারার যন্ত্রণার কথা আগেও বহুবার বলেছেন। ২০০০ সালে সিমি গারেওয়ালের সাথে সাক্ষাতের বিষয়ে তিনি স্বীকার করেছিলেন যে তার সন্তান থাকলে তিনি হয়ত 'ভিন্ন দিকে' চলে যেতেন। কিন্তু মা না হতে পারায় অভিনয়কে আঁকড়েই বেঁচেছেন শাবানা।
তিনি বলেন, ‘আমার যদি সন্তান থাকত, আমি নিশ্চিত, আমি অন্য দিকে চলে যেতাম। সন্তান ধারণ করতে না পারা, এক অর্থে, পছন্দগুলি আরও সহজ করে তুলেছিল কারণ আমি আমার সময় দিয়ে আরও অনেক কিছু করতে পারি। আমি মনে করি মাতৃত্ব খুবই চাহিদাসম্পন্ন। শুরুতে আমি বিশ্বাস করতে পারিনি যে আমি মা হতে পারব না। আমি এতটাই নিশ্চিত ছিলাম যে আমি এত বিশেষ এবং এত সুবিধাপ্রাপ্ত এবং অবশ্যই, এটি আমার ঈশ্বর প্রদত্ত অধিকার ছিল। তবুও, আমি অবাক হয়ে যাই যে আমি যখন বুঝতে পেরেছিলাম যে আমি বাচ্চার জন্ম দিতে পারব না, আমি অবশ্য সেটাকে মেনে নিয়েছে’।
শাবানা ১৯৮৪ সালে জাভেদ আখতারকে বিয়ে করেছেন। তখনও জাভেদের প্রথ স্ত্রী হানির সঙ্গে ডিভোর্স হয়নি গীতিকার-লেখকের। জাভেদের প্রথমপক্ষের দুই সন্তান ফারহান ও জোয়া আখতারের সঙ্গ মধুর সম্পর্ক শাবানার। সৎ মা নয়, বরং বন্ধুর মতো মেশেন তাঁরা। শিগগিরই 'ডাব্বা কার্টেল', 'বান টিক্কি' ও 'লাহোর ১৯৪৭' ছবিতে দেখা মিলবে শাবানার।