করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করতে কোনওরকম খামতি রাখছেন না বলিউড তারকারা। নিজেরা ঘরবন্দি থেকে সামাজিক দায়িত্ব পালন করবার পাশাপাশি অনুরাগীদের মধ্যেও এই সচেতনতামূলক বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁরা। এই তালিকায় এবার যুক্ত হলেন বলিউড বাদশা শাহরুখ কান। শুক্রবার রাতে টুইটারে একটি ভিডিয়ো বার্তা পোস্ট করেন বাদশা। সেখানে এসআরকে অনুরোধ করেন এই মুশকিল সময়ে প্রশাসনের পাশে দাঁড়িয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করবার।
ভিডিয়োয় শাহরুখ জানান, 'গোটা বিশ্বে করোনা থাবা বসিয়েছে। এই কঠিন সময়ে আমি-আপনি একসঙ্গে এই মুশকিলের মোকাবিলা করতে পারব, একে হারাতে পারব। কস্তুরবা হাসপাতাল পুরোপুরি তৈরি, অন্য সকল হাসপাতালের সঙ্গে এই পরিস্থিতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে। নিজেদের কথা না ভেবে এয়ারপোর্টেও চিকিত্সকদের দল অক্লান্ত পরিশ্রম করে নিজের কর্তব্যে অবিচল রয়েছেন। আমাদের এদের সঙ্গ দিতে হবে। আমরা কী করতে পারি? আমাদের শুধু একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। আমরা যেখানেই থাকি-বাড়িতে বা কর্মস্থলে নির্দিষ্ট সময় অন্তর হাত ধুতে হবে। হাঁচি পেলে মুখ হাত দিয়ে ঢেকে নিন। সম্ভব হলে আগামী ১৫দিন ভিড় এড়িয়ে চুলন। ভাল হয় যদি আপনারা বাড়িতেই থাকেন। আশেপাশের কারুর জ্বর-সর্দি বা কাশি হলে তাদের থেকে কয়েক ফুটের দূরত্ব বজায় রাখুন। মনে রাখুন, নিজেদের সুরক্ষার জন্য এই সাবধানতা কোনও একজন নয় সকলকে মেনে চলতে হবে'।
এর আগে শুক্রবার মহামারী করোনার বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়াই করার আহ্বান জানান খিলাড়ি কুমারও। বিশ্বজুড়ে যখন মহামারীর প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে সেই সময় কিছু মানুষের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অক্ষয়। টুইটারে ভিডিয়ো পোস্ট করে তিনি বলেন, 'ঘরে আছি এবং ঘর থেকেই আপনাদের এই বার্তা দিচ্ছি..আশা করি আপনারা ঘরেই আছেন, যদি বাইরে থাকেন তাহলে খুব জরুরি কাজেই আছেন। এখন সময় এসেছে, আমরা নিজেরাই নিজেদের প্রশ্ন করার সময় এসেছে বাইরে যাওয়াটা কি জরুরি? বাইরে যাওয়াটা কি সুরক্ষিত?'
মহারাষ্ট্র সরকারের নির্দেশ অনুসারে বেশকিছু মানুষের হাতে হোম কোয়ারেন্টাইনের স্ট্যাম্প থাকা সত্ত্বেও তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানোয় ক্ষোভ উগরে দেন অক্ষয় কুমার। তিনি প্রশ্ন তোলেন সেই সব মানুষের মানসিকতা নিয়ে। তিনি বলেন, 'করোনা ভাইরাস এই প্রতিযোগীতা জিততে এগিয়ে রয়েছে। তবে আমরাও জিততে পারি। এরজন্য চিকিত্সক, এবং সরকার যা বলছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। এটাই পৃথিবীর প্রথম এমন রেস হচ্ছে-সেখানে গোটা বিশ্ব হয় একসঙ্গে নয় জিতবে নয় সবাই হারবে’। খিলাড়ি কুমার বিএমসি(BMC)-র হোম কোয়ারেন্টাইন স্ট্যাম্পকে ‘ব্যাচ অফ অনার’ বলে উল্লেখ করেন। কারণ ‘এই স্ট্যাম্প মেরে ঘরে থাকার অর্থ আপনি শুধু নিজের জীবন বাঁচাচ্ছেন না সঙ্গে আরও অনেকের জীবন রক্ষা করছেন’, মনে করিয়ে দেন অক্ষয়।
ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ২৫৮ জন, গোটা বিশ্বে এই সংখ্যা ২ লক্ষ ৮০ হাজার ছুঁইছুঁই। ভারতের মধ্যে মহারাষ্ট্রেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ(৬৩ জন) এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। তাই চিন্তার ভাঁজ ক্রমেই বাড়ছে উদ্ধব ঠাকুর সরকারের।