ফারহা খান ও সাজিদ খানের মা মেনকা ইরানি আর নেই, এই খারাপ খবরটা এসেছিল শুক্রবার। এরপর ওইদিনই রাতে বন্ধু ফারহা খানের বাড়িতে সপরিবারে ছুটলেন শাহরুখ খান। সেসময় কিং খানের সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী গৌরী ও মেয়ে সুহানা। শাহরুখ যখন ফারহা খানের বাড়িতে পৌঁছলেন তখন তাঁকে বেশ বিমর্ষ দেখাচ্ছিল।
এদিন শাহরুখকে সাদা শার্ট এবং নীল ডেনিম জিন্সে দেখা যায়, সঙ্গে ছিল একটা বাদামী স্লিং ব্যাগ, চুলে পনিটেল এবং চোখে চশমা। গৌরী এদিন একটা প্রিন্টেড ফুল-হাতা ড্রেস পরেছিলেন পরেছিলেন, আর সুহানাকে একটা কালো ড্রেসে দেখা যায়। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন শাহরুখের ম্যানেজার পূজা দাদলানিও। সেসময় ছবি তোলার জন্য সেখানে শাহরুখের গাড়ি ঘিরে ধরেন ফটোগ্রাফাররা।, তবে তাঁদের এড়িয়ে, শুধুমাত্র গৌরীর জন্য গাড়ির দরজা খুলে দেন শাহরুখ, স্ত্রী নামতেই তাঁরা দুজনে সোজা লিফটে উঠে যান। সঙ্গে দেখা যায় সুহানাকেও।
প্রসঙ্গত শাহরুখ-ফারহার বন্ধুত্ব বহু পুরনো। ১৯৯৪ সালে শাহরুখ যখন কুন্দন শাহের ‘কভি হ্যান কাভি না’ তে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন, সেই তখন থেকেই বন্ধুত্ব তাঁদের।
এদিনই বিকেলের মেনকা ইরানিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ফারহা খানের বাড়িতে পৌঁছেছিলেন বন্ধু রানি মুখোপাধ্যায়, শিল্পা শেঠি, ভূষণ কুমার এবং এমসি স্ট্যান সহ বেশ কয়েকজন সেলিব্রিটি। এদিন রানিকেও দেখা গেল সাদা সালোয়ার কুর্তায়। শিল্পা পরেছিলেন নীল জিন্সের উপর সাদা শার্ট।
প্রসঙ্গত ২৬ জুলাই শুক্রবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ফারহা খানের মা মেনকা ইরানি। মৃত্যুর এই খবর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে শেয়ার করেন কামল আর খান। মৃত্যুর সময় ফারহা খানের মায়ের বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। কয়েকদিন আগেই ফারহা এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে জানিয়েছিলেন যে, তাঁর মায়ের একাধিক অস্ত্রোপচার হয়েছে। ১২ জুলাই মায়ের জন্মদিনে তিনি একটা দীর্ঘ নোট লিখেছিলেন। জানিয়েছিলেন, কীভাবে তাঁর মা-ই ছিলেন তাঁর শক্তির উৎস।
ফারহা খান সেদিন লিখেছিলেন, ‘শুভ জন্মদিন মা! আজ বাড়ি ফিরে আসার (হাসপাতাল থেকে) জন্য একটা সুন্দর দিন। আমার সঙ্গে আবার লড়াই শুরু করার জন্য তুমি যথেষ্ট শক্তিশালী। আমি জানি তুমি পারবে। সেই দিনের অপেক্ষা করছি। আমি তোমাকে ভালোবাসি।’