গত ২রা নভেম্বর জন্মদিনে জনসমক্ষে আসেননি শাহরুখ খান। সেই নিয়ে খানিক মর্মাহত হয়েছিল মন্নতের বাইরে অপেক্ষারত ভক্তরা। কয়েক ঘণ্টা পরই শাহরুখকে খুনের হুমকি দিয়ে ফোন আসে মুম্বই পুলিশের কাছে। বাবা সিদ্দিকিকে গুলি করে হত্যার পর থেকেই তটস্থ মুম্বই পুলিশ। সলমন খানকে লাগাতার প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে বিষ্ণোই গ্যাং, গোঁদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে দেখা দেয় বলিউড বাদশা শাহরুখ খানকে হত্যার হুমকি! এই ঘটনায় অবশেষে ছত্তিশগড়ের রায়পুর থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল তদন্তকারীরা। আরও পড়ুন-টলিপাড়ায় তিনিই ‘রাজার রাজা’, চেনা অবতারে দেব! খাদানের প্রথম গানে জমিয়ে দোলালেন কোমর
গত সপ্তাহে বান্দ্রা থানায় শাহরুখ খানকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে ফোন আসে, দাবি করা হয় ৫০ লক্ষ টাকা। এরপর ভারতীয় ন্যায় সংহিতার (বিএনএস) ৩০৮ (৪) (মৃত্যু বা গুরুতর আঘাতের হুমকি সহ তোলাবাজি) এবং ৩৫১ (৩) (৪) (অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শন) ধারায় পুলিশ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির নামে অভিযোগ দায়ের করে। অবশেষে ছত্তিশগড়ের রায়পুর থেকে ফয়জান খান নামে এক আইনজীবীকে গ্রেফতার করল মুম্বই পুলিশ।
রায়পুরের আইনজীবীকে তলব করা হয়েছিল কারণ তাঁর নামে নিবন্ধিত একটি ফোন নম্বর ব্যবহার করে হুমকি কল করা হয়েছিল। মুম্বই পুলিশ রায়পুর গিয়ে পান্দ্রি থানা এলাকার ফয়জান খানকে তলব করে। হাজিরা না দিলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সুপার (সিএসপি-সিভিল লাইনস) অজয় কুমার জানান, ফয়জান খান দাবি করেছেন তাঁর ফোনটি হারিয়ে গিয়েছিল গত ২রা নভেম্বর। ফয়জান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁর ফোন নম্বর থেকে যে হুমকি ফোন গিয়েছে তা তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। তিনি বলেন, ‘২ নভেম্বর আমার ফোন চুরি হয়ে যায় এবং আমি থানায় অভিযোগ করি। বিষয়টি মুম্বাই পুলিশকে জানিয়েছি।’
১৯৯৪ সালে 'আনজাম' সিনেমার একটি সংলাপ নিয়ে শাহরুখ খানের বিরুদ্ধে হরিণ শিকারের প্রসঙ্গ টেনে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমি রাজস্থান থেকে এসেছি। বিষ্ণোই সম্প্রদায় (যারা রাজস্থান থেকে আসে) আমার বন্ধু। হরিণ রক্ষা করা তাদের ধর্ম। সুতরাং কোনো মুসলমান যদি হরিণ সম্পর্কে এ ধরনের কিছু বলে তাহলে তা নিন্দনীয়। তাই আপত্তি জানিয়েছি’।
তিনি আরও বলেন, 'আমার ফোন থেকে যারাই কল করেছেন, তাদের মনে হচ্ছে ইচ্ছাকৃত। আমি মনে করি এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।