বৃহস্পতিবার রাতে শাহরুখ খান করোনা মোকাবিলায় সাতটি ফান্ডে অনুদানের কথা জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন শুধু আর্থিক সহায়তা নয় সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই কঠিন পরিস্থিতিতে মাঠে নেমে কাজ করবে তাঁর চারটি সংস্থা। দেশের দুর্দিনে দু হাত খুলে দান করছেন শাহরুখ। কারণ 'রাজ সবারে দেন'। করোনা মোবাকিলায় গোটা দেশের জন্য তো নিঃসন্দেহে ভাবছেন শাহরুখ,কিন্তু তাঁর বিশেষ নজরে রয়েছে জন্মভূমি দিল্লি, কর্মভূমি মুম্বই এবং কলকাতা। না এই শহরের সঙ্গে তাঁর নাড়ির টান নেই, রুচিরুটিরও নয়।। তবে তিনি বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। এটা তাঁরও শহর। কলকাতার সঙ্গে এক অদ্ভূত ভালোবাসার বাঁধনে জড়িয়ে রয়েছেন শাহরুখ খান। তাই অকপটে এসআরকে বলতে পারেন 'আমি কলকাতা'।
শাহরুখ খানের এই নজিরবিহীন উদ্যোগের আগেই প্রশংসা করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। শনিবার ভাই শাহরুখের উদ্দেশে টুইট করে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার সেই টুইটের জবাব এল সন্ধ্যায়। একদম বাদশাহী কায়দায় শাহরুখ স্পষ্ট বাংলায় জবাব দিলেন। তিনি লেখেন,' দিদি, আপনার নিঃস্বার্থ মানবিক কাজে, একটি ভাই হয়ে হাত বাড়ানো আমার কর্তব্য'। এরপর শাহরুখ বলেন, আমি কলকাতা' ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ইংরাজিতে লেখা কয়েকটি পঙতি যোগ করেন।
এদিন সকালে শাহরুখে উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী টুইট করেন, 'ধন্যবাদ শাহরুখ। তোমার অনুদান বহু দুঃস্থ মানুষকে এই কঠিন সময়ে সাহায্য করবে। এই ধরনের দয়ার অনুদান এ দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষকে অনুপ্রেরণা দেবে, যাঁরা তোমার দিকে তাকিয়ে থাকে শ্রদ্ধা ও সম্মানের সঙ্গে, যাঁরা তোমাকে নিজেদের অনুপ্রেরণা ভাবে'।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের করোনা রিলিফ ফান্ডে ২.৫ কোটি টাকার অনুদান দিচ্ছেন শাহরুখ খান। শুক্রবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে এ কথা জানিয়েছেন স্বয়ং শাহরুখ। এছাড়াও বাদশার একাধিক কর্মসূচির মধ্যে অন্যতম পশ্চিমবঙ্গ ও মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সুরক্ষিত করতে ৫০,০০০ পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট বা পিপিই প্রদান।
এছাড়াও শনিবারই সামনে এসেছে বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের জন্য নিজেদের চারতলা একটি অফিস বিল্ডিংয়ের দরজা খুলে দিয়েছেন শাহরুখ-গৌরী। বিএমসি যাতে সেই বহুতলে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি করতে শিশু, বয়স্ক এবং মহিলাদের জন্য সেই কারণেই এই উদ্যোগ। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবর প্রকাশ্যে আনে বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন।