জীবনের ৫৬টা বসন্ত পার করে ফেলেছেন। প্রায় চার বছর ধরে বড় পর্দায় দেখা মেলেনি তাঁর। পঁচিশ বছরের কেরিয়ার। হাতে গোনা কয়েকটা ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। বিতর্ক-সমালোচনা একাধিকবার ঘিরে ধরেছে তাঁকে। তবে কঠিন সময়ে তাঁর টিকে থাকার লড়াই, দাঁতে দাঁত চেপে ময়দানে ফিরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ের মন্ত্রটা ভালো জানেন তিনি। অগণিত ভক্তদের কাছে তাই অনুপ্রেরণা বলিউডের কিং খান।
কেরিয়ারের ২৫টা বছর পেরিয়েও আজও তিনি দর্শকদের মনের ‘কিং অফ রোম্যান্স’। ছোটবেলা থেকে বেশিরভাগ সময় নারীদের সঙ্গ পেয়ে বড় হয়েছেন এসআরকে। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে নিজের অতীতের জীবন নিয়ে কথা বলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। মা চলে যাওয়ার পর অভিনেতার এক দিদিও রয়েছেন। পরবর্তীতে স্ত্রী গৌরী খান এবং মেয়ে সুহানা এসেছে তাঁর জীবনে।
২০১৮ সালে World Economic Forum-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শাহরুখ জানিয়েছিলেন, ‘বাবা যখন মারা যান আমার বয়স ছিল ১৪ বছর। মায়ের কাছেই বড় হয়েছি। মায়ের কোনও ভাই ছিল না। আমার দিদিমাও অনেক আগেই মারা গিয়েছেন। তাই পরিবার বলতে আমার ছিলেন মা, দিদি, তিন মাসি, আর এক দিদিমা। তার পর যখন মা-ও চলে গেলেন আমার জীবনে রইলেন স্ত্রী আর মেয়ে।’ আরও পড়ুন: মুখে-হাতে ফেট্টি! কেন এত দেরী হল? ‘জওয়ান’-এর পোস্টার শেয়ার করে জানালেন শাহরুখ
এই থেকেই খানিকটা পরিষ্কার, নারী পরিবেষ্টিত পরিবেশে বড় হয়েছেন তিনি। পরিবারের নারীরাই তাঁকে দুনিয়া দেখতে শিখিয়েছে। শাহরুখের কথায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পরিশ্রমী মহিলাদের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। তেমন কোনও অসুবিধার সম্মুখীন হননি কখনও। এমনকি তাঁর গায়ে ‘নায়ক’-এর তকমার জন্য নারীদের অবদান রয়েছে অনেক। কাজের জগতে এসে মহিলাদের সম্পর্কে আসল ধারণা পেয়েছিলেন তিনি।
অভিনেতার আরও মন্তব্য, মেয়েদের সঙ্গে কীভাবে কথা বলতে হয় তিনি নারীদের থেকেই শিখেছেন। কোনও কিছুর অনুমতি নেওয়ার ক্ষেত্রে, কোনও মহিলাকে কোনও বিষয় রাজি করানোর ক্ষেত্রে এগুলি সব তাঁদের থেকে শিখেছেন বলে জানিয়েছেন। কোনও মেয়েকে হ্যাঁ বলাতে কোনওদিনও কোনও জোরাজুরি করেননি তিনি, জোর গলাতেই জানিয়েছেন বলিউডের বাদশা।
শাহরুখ জানিয়েছেন, ‘কাজ করতে গিয়ে দেখেছি মহিলা সহকর্মীরা অসম্ভব পরিশ্রমী হয়। আমার তুলনায় অনেক বেশি পরিশ্রম করতে পারেন তাঁরা। এতটাই সুশৃঙ্খল যে, আমি সেটে আসার অন্তত ৪-৫ ঘণ্টা আগে তাঁদের হাজির হতে দেখেছি। পুরুষতান্ত্রিক জগতে নারীদের আজও দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবেই গণ্য হতে দেখি। কিন্তু ওঁদের থেকে প্রতি মুহূর্তে অনেক কিছু শিখতে পাই।’