নব্বইয়ে দশকে বলিউডে অ্যান্ডার ওয়ার্ল্ডের ব্যাপক চাপ কাজ করত। এমনকি মাফিয়াদের হাতে খুন পর্যন্ত হয়েছেন টি-সিরিজের তত্কালীন কর্ণধার গুলশন কুমারকে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যা পর্যন্ত করেছিল দাউদ ইব্রাহিমের গ্যাং, ঘটনায় জড়িত ছিল আবু সালেমের মতো কুখ্যাত অপরাধীও। পর্দায় যেমন সাহসী হিরো শাহরুখ, বাস্তবেও কম যান না তারকা। তাই তো আবু সালেমের চোখে চোখ রেখে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন শাহরুখ।
আজ শাহরুখের ৫৫তম জন্মদিন, গত ২৫ বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে 'রাজ' করছেন কিং খান। আসুমদ্রহিমাচলের কাছে বলিউড বাদশা হিসাবে পরিচিত তিনি। এই তকমা তাঁর উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়নি, তিনি জয় করছেন কয়েক কোটি মানুষের ভালোবাসায়।
অনুপমা চোপড়ার লেখা বই ‘দ্য কিং অফ বলিউড’-এ এই অভিজ্ঞ সাংবাদিক লিখেছেন কীভাবে শাহরুখ খান আবু সালেমের মতো গ্যাংস্টারকে সচেতন করে বলেছিলেন- ‘আমি তোমাকে ঠিক করে দিই না তুমি কাকে গুলি করবে, তাহলে তুমিও আমাকে বলে দিও না আমি কোন ছবিতে কাজ করব’। আবু সালেম ঘনিষ্ঠ এক প্রযোজকের ছবিতে অভিনয় করুক শাহরুখ, সেই দাবি জানিয়েই হুমকি ফোন এসেছিল বাদশার কাছে।
যশ চোপড়ার পরিচালনায় ‘দিল তো পাগল হ্যায়’ ছবির শ্যুটিং চলাকালীন একাধিক ফোন এসেছিল শাহরুখের কাছে। তবে দমে যাননি শাহরুখ, বরং পালটা হুঙ্কার তুলেছিলেন।
অনুপমা চোপড়া যোগ করেন, প্রথমবার যখন আবু সালেমের কাছ থেকে ফোন পেয়েছিলেন শাহরুখ প্রশ্ন করেন- কে বলছেন? উলটো দিক থেকে হিন্দিতে একটি অশ্রাব্য গালি ওড়ে আসে। এরপরেও নিজের মেজাজ হারাননি শাহরুখ। ইংরাজিতেই নিজের বক্তব্য রাখেন অভিনেতা। শুধু আবু সালেমের অফারই ফেরাননি শাহরুখ, বরং পালটা যুক্তিও দেখিয়ে ছিলেন। এই ঘটনার পর শাহরুখ খানের সুরক্ষা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। জীবনের এই সময়টাকে অত্যন্ত ‘হতাশাজনক এবং ভয়ঙ্কর’ বলে উল্লেখ করেছেন শাহরুখ।