শাহরুখ খান পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের (অ্যাওয়ার্ড) প্রতি তাঁর ভালবাসা সম্পর্কে মুখ খুলেছিলেন। দ্য গার্ডিয়ানের সঙ্গে একটি নতুন সাক্ষাত্কারে, অভিনেতাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তিনি এই জাতীয় ইভেন্টগুলি 'উপভোগ করেন' কিনা, এর উত্তরে তিনি প্রকাশ করেছিলেন যে তাঁর কেবল একটি 'ট্রফি ক্যাবিনেট' নয়, একটি পূর্ণাঙ্গ 'গ্রন্থাগার রয়েছে যা তাঁর সমস্ত পুরষ্কারের ট্রফি সংরক্ষণ করার জন্য একটি ইংলিশ লাইব্রেরির মতো ডিজাইন করা হয়েছে'।
আরও পড়ুন: (রেট্রো গানের সঙ্গে মিশল আধুনিকতা, প্রকাশ্যে শিল্পা-শেখরের ‘আসার তেরা ক্যায়সা’)
'৩০০ অ্যাওয়ার্ড' রাখার জন্য একটি লাইব্রেরি রয়েছে'
শাহরুখ, যাকে শেষবার ডানকি (২০২৩) ছবিতে দেখা গিয়েছিল, তিনি বলেন, ‘আমি এটি (পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান) উপভোগ করি। এ ব্যাপারে আমি বড়ই নির্লজ্জ! আমি পুরষ্কার পেতে ভালোবাসি। আমি অনুষ্ঠান ভালোবাসি। বক্তৃতা দিতে গেলে আমি একটু ঘাবড়ে যাই। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক পুরষ্কারের ক্ষেত্রে, কারণ তখন আমাকে নিশ্চিত করতে হবে যে ভারতীয় সিনেমাকে যেন ভালোভাবে উপস্থাপন করা হয়। আমাকে আমার সেরা আচরণে থাকতে হবে। আমাকে আমার রসবোধ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কারণ ভারতের জন্য সিনেমা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
তাঁর ট্রফি ক্যাবিনেট আছে কিনা জানতে চাওয়া হলে শাহরুখ বলেন, ‘হ্যাঁ। সেটা এই ঘরের চেয়েও বড়! আমার ৩০০টি পুরষ্কার রয়েছে। আমার একটি নয় তলা অফিস আছে এবং প্রতিটি তলায় আমার কিছু পুরষ্কার রয়েছে। আসলে এটা ট্রফি রুম নয়। এটি একটি লাইব্রেরি যা একটি ইংরেজি লাইব্রেরির মতো ডিজাইন করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: (ম্যাথু পেরিকে প্রাণঘাতী ডোজ সরবরাহ করতেন জসভিন সংঘ! কে ইনি? উঠে এল নতুন তথ্য)
তাঁর পুরস্কার সম্পর্কে আরও
কিং খান ১০০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এবং ১৪টি ফিল্মফেয়ার পুরষ্কারসহ অসংখ্য পুরষ্কার অর্জন করেছেন। ১৯৯২ সালে 'দিওয়ানা' ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হওয়া শাহরুখ ২০০৫ সালে ভারত সরকার কর্তৃক পদ্মশ্রী, ২০০৭ ও ২০১৪ সালে ফ্রান্স সরকার কর্তৃক অর্ডার অব আর্টস অ্যান্ড লেটারস অ্যান্ড লিজিয়ন অব অনার পুরস্কারে ভূষিত হন। তাঁর কয়েকটি আন্তর্জাতিক পুরষ্কারের মধ্যে রয়েছে ২০১২ সালে মালয়েশিয়ার ব্র্যান্ড লরিয়েট লিজেন্ডারি অ্যাওয়ার্ড এবং ২০১৪ সালে যুক্তরাজ্যের গ্লোবাল ডাইভারসিটি অ্যাওয়ার্ড।
এছাড়াও শাহরুখের অন্যান্য জনপ্রিয় ছবি- দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে (১৯৯৫), দিল তো পাগল হ্যায় (১৯৯৭), কুছ কুছ হোতা হ্যায় (১৯৯৮), মহব্বতেঁ (২০০০), কাভি খুশি কাভি গম... (২০০১), কাল হো না হো (২০০৩), বীর-জারা (২০০৪) এবং কাভি আলবিদা না কেহনা (২০০৬), জওয়ান ও পাঠান (উভয় ২০২৩)।