বাবা তাজ মহাম্মদ খান ছিলেন ঔপনিবেশিক ভারতে একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী, পুরনো এক সাক্ষাৎকারে সেই গল্পই ফাঁস করেছিলেন অভিনেতা শাহরুখ খান। বলিউডের বাদশা ওই একই সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তাঁর বাবা তাজ ছিলেন ১৫ বছর বয়সে দেশের 'কনিষ্ঠতম স্বাধীনতা সংগ্রামী'। বাবার থেকে দেশের স্বাধীনতা সম্পর্কে কী পরামর্শ পেয়েছিলেন তিনি, সেকথাও ফাঁস করেছেন শাহরুখ।
শাহরুখের বাবা প্রয়াত তাজ মহম্মদ খান পেশোয়ার থেকে ভারতে এসেছিলেন। শাহরুখকে ১৫ বছর বয়সে রেখে ক্যানসারে মারা যান তিনি। শাহরুখের মা লতিফ ফাতিমা খানও ১৯৯০ সালে দীর্ঘ অসুস্থতায় মারা যান।
আরও পড়ুন: ‘সত্যিকারের সুন্দর কিছু নষ্ট করতে দেবেন না’, আমিরের সাপোর্টে এগিয়ে এল ভাইঝি জায়েন
এক পুরনো সাক্ষাৎকারে ফরিদা জালাল শাহরুখকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘আপনার পরিবারের বড়দের এই দেশের রাজনীতির সঙ্গে খুবই শ্রদ্ধেয় এবং সম্মানজনক সম্পর্ক রয়েছে। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে আপনি কী বলতে চান?’ উত্তরে অভিনেতা বলেন, ‘আমার পরিবার বিশেষ করে আমার বাবা, আমরা সকলেই সেই সময়ের (স্বাধীনতা-পূর্ব ভারত) দেশের রাজনীতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন। কারণ আমার বাবা নিজে ছিলেন এই দেশের সর্বকনিষ্ঠ স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং জেনারেল শাহনওয়াজের মতো লোকদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তাঁর।’
আরও পড়ুন: বেকারত্বের সমস্যা নিয়ে নচিকেতার ‘আজকের শর্টকাট’, প্রকাশ্যে ছবির পোস্টার লুক
শাহরুখ আরও বলেন, তাঁর বাবা বলতেন, ‘আরে দুষ্টু ছেলে এখানে আসো। বোকা ছেলে তুমি বীরের মত ঘুরে বেড়াচ্ছ। স্বাধীনতাকে কখনই তাচ্ছিল্য ভাবে গ্রহণ করা উচিত নয়। আমরা তোমাদের এটা দিয়েছি তাই সর্বদা এই স্বাধীনতা বজায় রেখো। সেই সময়ে, আমি সত্যিই মনে করতাম যে স্বাধীনতা বলতে তিনি একটি বিদেশী শাসন বা অন্য কিছু থেকে বোঝাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এখন বড় হওয়ার পরে বুঝতে পেরেছি, তিনি যে স্বাধীনতার কথা বলছেন তা হয়তো দারিদ্রের পরিপ্রেক্ষিতে, দুঃখ থেকে মুক্তি।’
শাহরুখকে পরবর্তীতে দেখা যাবে ‘পাঠান’ ছবিতে। ছবির পরিচালনায় সিদ্ধার্থ আনন্দ। এতে অভিনয় করবেন দীপিকা পাড়ুকোন এবং জন আব্রাহাম। অ্যাটলির ‘জওয়ান’ এবং রাজকুমার হিরানির ‘ডানকি’ও রয়েছে।