সমস্ত অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে বড়পর্দায় মুক্তি পেল পাঠান। এই ছবির হাত ধরেই দীর্ঘ ৪ বছর পর বড়পর্দায় কামব্যাক করলেন শাহরুখ খান। একদিকে শাহরুখ ভক্ত থেকে সিনেমাপ্রেমীদের এই ছবি নিয়ে মাতামাতির শেষ নেই। অন্যদিকে এখনও জারি রইল বিতর্ক।
আজ সকাল ৬টা থেকে এই ছবির স্ক্রিনিং শুরু হয়েছে। প্রায় প্রতিটি শো হাউজফুল যাচ্ছে। যদিও সকালের বেশ কিছু শো ইন্দোর, ভাগলপুর, ইত্যাদি জায়গায় বাতিল করে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলো এই ছবির বিরোধিতা করে এবং হলে হলে গিয়ে রীতিমত ভাঙচুর চালায়। পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়। এমনটাই জানিয়েছে পিটিআই।
ছবিটি মুক্তি পাওয়ার আগে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর থেকে এই ছবি নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছে। এদিন বেশরম রং গানটি মুক্তি পেয়েছিল পাঠান ছবিটির। সেই থেকেই বিতর্কের শুর। বহু নেতা, মন্ত্রী, ধর্মীয় সংগঠন ছবিটির ঘোরতর বিরোধিতা করেছিল। তাঁদের মতে হিন্দুদের ভাবাবেগে নাকি এই ছবি আঘাত করেছে। সেই কারণেই বিরোধিতা করা হয়েছিল।
এদিন ইন্দোরের একটি হলে গেরুয়া পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখায় হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। পিটিআইয়ের তরফে জানানো হয় কিছু প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন যে এই সংগঠনের কর্মীরা হলের ভিতর ঢুকে দর্শকদের হল থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। এবং জানিয়ে দেন তাঁরা এই হলে কোনও ছবি চলতে দেবেন না।
অন্যদিকে বজরং দলের তরফে ইন্দোরের আরও একটি হলে বিক্ষোভ দেখানো হয়। তাঁরা শাহরুখ খানের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে সেখানে।
দীনেশ আগরওয়াল, পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পিটিআইকে জানিয়েছেন হিন্দু জাগরণ মঞ্চ এবং বজরং দল পাঠান ছবির বিরোধিতা করে। আর সেই কারণেই এখানে একাধিক মর্নিং শো বাতিল করে দেওয়া হয়।
ভাগলপুরের একটি হলে পাঠান ছবির পোস্টার ছিঁড়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এখানকার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায়। বিক্ষোভকারীরা এখানে নানা স্লোগান দেন, 'ছবি দেখালে হল জ্বলবে', 'হর হর মহাদেব', ইত্যাদি। তাঁরা মোমবাতি, ইত্যাদি নিয়ে প্রতিবাদ জানান। তাঁরা ছবিটির বড় বড় পোস্টার, হোর্ডিং ছিঁড়ে ফেলেন।
এছাড়া আগ্রা, বেলগাভি, সহ দেশের একাধিক প্রান্তে পাঠান নিয়ে বিক্ষোভ দেখায় বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় সংগঠন। কিছুদিন আগে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছবি, ইত্যাদির বিরোধিতা করতে বা নেতিবাচক মন্তব্য করতে বারণ করেছিলেন। অন্যদিকে সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশনের তরফে এই ছবিতে বেশ কিছু কাটছাঁট করা হয়েছে। বদল আনা হয়েছে।