রেভ পার্টিতে মাদক সেবনের অপরাধে রবিবার দুপুরে গ্রেফতার করা হয় শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান ও তাঁর দুই বন্ধুকে। রবিবার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের তরফ থেকেও এক দিনের এনসিবি হেফাজতের নির্দেশ ছিল।
সোমবার ফের একবার আদালতে হাজির করা হয় আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধামেচাকে। ১৩ অক্টোবর অবধি হেফাজত চাইছে NCB। ইতিমধ্যেই সোমবার সকালে ধৃতদের মেডিকেল টেস্ট করা হয়েছে। সঙ্গে করোনা পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছে সোয়াব স্যাম্পেলও।
এদিন আদালতে ওই তিনজন ছাড়াও আরও ৬ ধৃতকে হাজির করা হয়েছে। যার মধ্যে একজন গ্রেফতার হয়েছেন আজ সকালেই। ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার সময় তাঁর কাছ থেকে বেশ ভালো পরিমাণ মাদক উদ্ধার হয়েছে বলেই আদালতকে জানিয়েছেন অ্যাডিশনাল সলিসিটার জেনারেল অনিল সিং।
আদালতের কাছে অনিল সিং জানিয়েছেন, ‘NCB-র পক্ষ থেকে আরিয়ানের ফোন আটক করা হয়েছে। সেখানে অনেক সন্দেহজনক চ্যাট আছে যা দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে মাদক ডিলারদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল আরিয়ানের। তাই সকলকে একসঙ্গে বসিয়ে এনসিবি-র দফতরে জেরা করা খুব দরকার।’
অনিল জানান, হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটের থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, টাকা-পয়সা লেনদেনের কথাও হয়েছে সেখানে। এমনকী, বিদেশেও টাকা পাঠানো হয়েছে। অ্যাডিশনাল সলিসিটার জেনারেল অনিল সিং আদালতকে জানান, আরিয়ানের বিরুদ্ধে পাওয়া সব প্রমাণ NDPS অ্যাক্ট অনুসারে শাস্তিযোগ্য ও রিয়া চক্রবর্তীর কেস অনুসারে জামিন অযোগ্য অপরাধ। অভিযুক্তদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা খুব প্রয়োজন। কারণ, চ্যাট থেকে বেশ কিছু সাংকেতিক নাম (code names) পাওয়া গিয়েছে, যা মাদক পাচারকারীদের সঙ্গে চ্যাট করার সময় ব্যবহরা করা হত।
আদালতকে আরিয়ানের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট দেখিয়ে আনিল সিং জানিয়েছেন, অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির সঙ্গে আরিয়ানের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট রয়েছে। চরসের কথা উল্লেখ এবং টাকা-পয়সা লেনদেনের কথাও হয়েছে। সেই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির সন্ধান, পাশাপাশি সাংকেতিক শব্দগুলো (code words) আনকোডের দাবি জানিয়েছেন তিনি।