মাদক-কাণ্ডে গ্রেফতার হন আরিয়ান। তারপর থেকে এক মুহূর্তের জন্য শান্তি পাচ্ছে না খান-পরিবার। শাহরুখ-গৌরী বড় ছেলেকে ছাড়িয়ে আনতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে এনসিবি-র হেফাজতে ছিলেন আরিয়ান খান। তবে গত সপ্তাহে বৃহস্পতিবার ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। আপাতত তিনি রয়েছেন আর্থার রোডের জেলে।
শুক্রবারই আরিয়ানের জামিনের চেষ্টা করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মানশিন্ডে। তবে তা খারিজ হয়ে যায়। এরপর শনি-রবি আদালত ছুটি থাকায় জেলেই কাটাতে হয়েছে আরিয়ানকে। এবার মানশিন্ডে শাহরুখ-পুত্রের জামিনের জন্য আবেদন করেছেন মুম্বইয়ের বিশেষ এনডিপিএস আদালতে (Special NDPS court)।
আরিয়ানের আইনজীবী জানিয়েছেন, ‘এটা খুবই সাধারণ একটা ব্যাপার, যখন আদালত জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়, তখন আরও উচ্চ আদালতে যাওয়া হয়। সেই হিসেবেই এনডিপিএস আদালতে আবেদন করা হয়েছে।’ তবে, আজ জামিনের শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও পিছিয়ে গিয়েছে। ১৩ অক্টোবর অবধি জেলেই থাকতে হবে আরিয়ানকে। বুধবার বিশেষ আদালতের তরফে জামিনের শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
আপাতত আর্থার রোডের জেলে রয়েছেন তিনি। রাজকীয় মন্নত ছেড়ে এখন মুম্বইয়ের এই কুখ্যাত জেলেই থাকছেন। ভোর বেলা উঠছেন, কয়েদিদের জন্য বানানো খাবারই খাচ্ছেন। এখনও পর্যন্ত এই মাদক মামলায় ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে এনসিবি। যার মধ্যে আরিয়ানের বিশেষ ঘনিষ্ঠ হিসেবে বারবার উঠে এসেছে দুটি নাম-- আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধমেচা। এদের দু'জনের কাছ থেকেই মাদক পেয়েছে এনসিবি। যদিও আটকের সময় আরিয়ানের কাছে কোনও মাদক পাওয়া যায়নি, তবে এনসিবি-র দাবি জেরায় মাদক খাওয়ার কথা মেনে নিয়েছেন আরিয়ান। জানিয়েছেন, প্রায় ৪ বছর ধরে তিনি মাদকে আসক্ত।