১৯৯২ সালে দিওয়ানা ছবির হাত ধরে বলিউডে পা রেখেছিলেন শাহরুখ খান। আর বাকিটা ম্যাজিক! সলমন খান এবং আমির খান অবশ্য তাঁর আগেই বলিউডে এসে গিয়েছিলেন। তিনি তৃতীয় খান হিসেবে বলিউডে পা রেখেছিলেন। এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিন দশকের বেশি দশক ধরে তিনি তাঁর নিজের জায়গা বলিউডে পাকা করে নেন। একই সঙ্গে দর্শকদের মনেও। কিন্তু যাই হোক মাঝে মধ্যেই তাঁদের মধ্যে, অর্থাৎ বলিউডের এই তিন খানের মধ্যে তুলনা টানতে দেখা যায় অনেকেই। অনুরাগীদের মধ্যেও চলে বিস্তর রেষারেষি। কিন্তু শাহরুখ যে বাকি দুই খানের থেকে অনেকটাই আলাদা তিনি সেটা রাজু বন গায়া জেন্টলম্যান, দিল আশনা হ্যায়, ইত্যাদি ছবি দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করেন তিনি।
সলমন এবং আমির দুজনেই ফিল্মি পরিবারের মানুষ। দুজনের বাড়ির লোকের সঙ্গেই বলিউডের যোগ ছিল। কিন্তু শাহরুখের সেসব কিছু ছিল না। তিনি দিল্লিতে থিয়েটার করতেন। সেটাই তাঁর সম্বল ছিল। শাহরুখ তাঁর কেরিয়ার ছোটপর্দা দিয়ে শুরু করেন। ফৌজি এবং সার্কাস ধারাবাহিকে তাঁকে দেখা যায়। এরপর তিনি বড়পর্দায় ডেবিউ সারেন।
মধ্য ৯০ দশকের কোনও এক সময়ে শাহরুখ একটি সাক্ষাৎকারে বাকি দুই খানের সঙ্গে প্রতিযোগিতার বিষয় টেনে বলেছিলেন, 'সলমন খান এই সময়ের সেরা এবং সব থেকে বড় অভিনেতা। অন্যদিকে এই ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম সেরা অভিনেতা হলেন আমির খান। আমিও আমার জায়গা ধীরে ধীরে এখানে বানিয়ে নিয়েছি। অনেকেই নির্বোধের মতো বলেন আমি এবিসিডিকে সরিয়ে দিয়েছি। কিন্তু এটা একদমই ভুল। সবার নিজের নিজের অভিনয়ের ধরন আছে। কেউ কাউকে কপি করেন না। কেউ কাউকে সরিয়ে তাঁর জায়গা নেন না। সবাই যে যাঁর মতো কাজ করছেন।'
তিনি এই বিষয়ে আরও বলেন, 'এছাড়া আমার নিজের অভিনয়ের গুণ আছে। আমার নিজের ধরন আছে। আমি বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে পারি। আমার চেহারা না মিষ্টি ছেলের মতো না অ্যাকশন হিরোর মতো। আমি এই দুটোর মিশেল। আমি যেমন দিওয়ানা করতে পারি, তেমনই কমেডি মেশানো চমৎকার ছবিও করতে পারি। এবার রোম্যান্টিক ছবিও করতে পারি।'
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে প্রায় ৪ বছর পর শাহরুখের ছবি পাঠান বক্স অফিসে মুক্তি পায়। এবং এই ছবি সমস্ত রেকর্ড ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে এই ছবি। আগামীতে তাঁকে জওয়ান এবং ডাঙ্কি ছবিতে দেখা যাবে।