শাহরুখ খান এবং ঐশ্বর্য রাই বচ্চন-বলিউডের দুই প্রথম সারির তারকা। একসঙ্গেও বহুবার রূপোলি পর্দায় ম্যাজিক তৈরি করেছেন এই জুটি। শুরুটা হয়েছিল চলতি শতাব্দীর একদম শুরুতে। ২০০০ সালে জোশ ছবিতে প্রথমবার একসঙ্গে কাজ করেছিলেন এসআরকে এবং অ্যাশ। কিন্তু এই ছবিতে কাজ করার জন্য নিজেকে ভাগ্যকে দুষলেন বাদশা।দু দশক পরেও জোশে ঐশ্বর্যর সঙ্গে কাজ করার আপসোস তাড়া করে বেড়ায় কিং খানকে! কারণটা কি জানেন? আসলে এই ছবিতে শাহরুখের যমজ বোনের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন ঐশ্বর্য। বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী মহিলা বলিউডের ‘কিং অফ রোম্যান্স’-এর বোনের ভূমিকায় অভিনয় করবেন বিষয়টা বেমানান মনে হয়েছে খোদ অভিনেতার। বছর খানেক আগে এক পুরস্কার বিতরণীর আসরে ঐশ্বর্য সামনে অকপটে স্বীকার করে নিয়েছিলেন শাহরুখ খান।
শাহরুখ জানান বারবার ঐশ্বর্যর সঙ্গে রোম্যান্সের সুযোগ পেয়েও বরাবরই সুযোগ ফসকে গিয়েছে। কিং খানের কথায়, ঐশ্বর্যর সঙ্গে আমি বরাবর খুব দুর্ভাগ্যবান। এটার লজ্জার যে আমার প্রথম ছবিতে(জোশ), ঐশ্বর্য-যে কিনা পৃথিবীর, এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের, এমনকি তার বাইরেরও সবচেয়ে সুন্দরী নারী সে কিনা আমার বোনের চরিত্রে অভিনয় করেছে! আমরা যমজা ভাইবোন ছিলাম ছবিতে। অনেকে আমাকে বলেছিল আমাদের একই দেখতে লাগছে। আমি এখনও সেই ভ্রান্ত ধারণাতে খুশি হয়েই বেঁচে আছি। মানে ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করলেও অন্তত আমাদের একরকম সুন্দর দেখতে’।
দ্বিতীয়বার মহব্বতে ছবিতে শাহরুখের প্রেমিকার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন ঐশ্বর্য। কিন্তু সেখানেও তাঁদের প্রেমকাহিনি পূর্ণ হয়নি। ঐশ্বর্যকে শাহরুখের কল্পনার চোখেই গোটা ছবিতে দেখেছে দর্শক। তিন নম্বরবার সঞ্জয় লীলা বনশালির পিরিয়ড ছবি দেবদাসে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল শাহরুখ-ঐশ্বর্যকে। দেবদাস-পারবর্তীর রোম্যান্সও জমে উঠেছিল কিন্তু তাও শরতচন্দ্রের লেখনি অনুযায়ী অসম্পূর্ন থেকেছে সেই প্রেমের গল্পও। শাহরুখ জানান, ‘সব ঠিক ছিলো কিন্তু আমি ওকে ফেলে চলে গেলাম। তারপর আমি ফিরলাম, পারো আমাকে ছেড়ে চলে গেল। তাই ঐশ্বর্যকে ভালোবাসার কোনও সুযোগই আমার কপালে জোটেনি’।
রূপোলি পর্দায় শেষবার এই জুটিকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছে করণ জোহরের ইয়ে দিল হ্যায় মুশকিল ছবিতে। ২০১৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিতে ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাহরুখ। এখানেও ঐশ্বর্যর প্রাক্তন স্বামীর ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল তাঁকে।