বোন সুহানা খানের মতো শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানও কেরিয়ার গড়ছেন বলিউডে। যদিও শাহরুখ বা সুহানার মতো ক্যামেরার সামনে কাজ করার কোনো ইচ্ছেই তাঁর নেই, বরং ক্যামেরার পিছনেই মন আরিয়ানের। পরিচালক ও নির্মাতা হিসেবে বলিউডে অভিষেক হতে যাচ্ছে স্টারডম সিরিজের মাধ্যমে। নেটফ্লিক্স এবং রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্ট গত নভেম্বরে এই প্রকল্পের ঘোষণা করেছে। এবার সেট থেকে একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে ২৭ বছরের আরিয়ান তাঁর কলাকুশলীদের সিন ব্যাখ্যা করছেন।
স্টারডমের সেটে আরিয়ান
ক্রুদের নির্দেশ দিচ্ছেন আরিয়ান। শাহরুখ খানের একটি ফ্যান ক্লাব স্টারডমের সেটে আরিয়ান খানের ভিডিয়ো ছাড়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে। যেখানে দেখাযায়, একটি দৃশ্যের ব্যাখ্যা করছেন শাহরুখের বড় ছেলে।
আরও পড়ুন: ‘আমার জনপ্রিয়তা ব্যবহার করার জন্য…’! বাংলা সিনেমার পরিচালকদের নিয়ে বিস্ফোরক রূপম
নির্দেশ দেওয়ার এবং একটি দৃশ্যের ব্যাখ্যা দেওয়ার একটি ভিডিও শেয়ার করেছে। ভিডিয়োটির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘তাঁর প্রথম পরিচালিত প্রজেক্ট স্টারডমের সেট থেকে #AryanKhan ভিডিও, যা এই বছরের শেষের দিকে নেটফ্লিক্সে স্ট্রিম হতে চলেছে। আরিয়ানকে খুব গম্ভীর দেখাচ্ছে।’ ভিডিয়োতে আরিয়ানকে তার নিজের ফ্যাশন ব্র্যান্ড ডি'ইয়াভোল এক্সের একটি ঢিলেঢালা টি-শার্ট এবং বেইজ ট্রাউজার্স পরে থাকতে দেখা গেছে। ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির পটভূমিতে সেট করা হয়েছে স্টারডম।
আরও পড়ুন: রুবেলকে বিয়ের ১০ দিন! কাজের চাপে রোজ শ্বশুরবাড়ি যাওয়া হচ্ছে না শ্বেতার, তাহলে থাকছেন কোথায়
আরিয়ান খানের ডেবিউ প্রোজেক্ট
স্টারডম বলিউডের জগতে পা রাখা এক উচ্চাভিলাষী বহিরাগতের যাত্রা অনুসরণ করে তৈরি। জানা গিয়েছে, ছয় পর্বের এই সিরিজে সলমন খান, শাহরুখ খান, রণবীর কাপুর, বাদশা এবং ববি দেওলের ক্যামিও দেখা যাবে। আরিয়ান গত বছরের মে মাসে তাঁর সিরিজের শুটিং শেষ করেছিলেন এবং এটি এখন এই বছরের নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। গত বছরের এপ্রিলে হিন্দুস্তান টাইমসকে একটি সূত্র জানিয়েছিল, আরিয়ান খানের প্রোজেক্টে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোনা সিং।
একটি সিরিজ পরিচালনা এবং ফ্যাশন ব্র্যান্ডের উদ্যোক্তা হওয়ার মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে আরিয়ান খান জিকিউ ইন্ডিয়াকে বলেছিলেন, ‘দুই ক্ষেত্রেই ভিন্নভাবে সৃজনশীলভাবে চিন্তা করতে হচ্ছে। ব্র্যান্ডের ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর হিসেবে আমি বিজ্ঞাপনের শুটিং করি এবং ফটোশুটের তদারকি করি। আমি সৃজনশীল দিকটাই বেশি দেখি, লজিস্টিকটা ততটাও নয়। অন্য দিকে, একজন পরিচালক হিসাবে, আমাকে প্রতিটি বিবরণ, প্রতিটি শট এবং প্রতিটি অ্যাঙ্গেল খতিয়ে দেখতে হবে।’