রবিবার সোহেল পুত্র-র জন্মদিনের পার্টিতে যোগ দিতে বেরিয়েছিলেন শাহরুখ খান ও গৌরী খানের ছোট ছেলে আব্রাম খান। মুম্বাইয়ের একটি রেস্তোরাঁর বাইরে আব্রাম পাপারাৎজিদের ক্যামেরায় বন্দি হয় তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে। সোহেল খান ও সীমা সাজদেহের ছোট ছেলে ইয়োহান খানের জন্মদিনের উৎসবে যোগ দেন আব্রাম।
আব্রামের ডিম্পলে মুগ্ধ নেটপাড়া
ভিডিয়োতে আব্রামকে ইয়োহানের সাথে রেস্তোরাঁ থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন অমৃতা অরোরার ছেলেও। গাড়িতে ওঠার পর আব্রাম পাপারাজ্জিদের দিকে তাকিয়ে হাসল এবং ক্যামেরা তাক করে হাত নাড়ল। এরপর তিনি তার বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলতে ও হাসাহাসি করতে শুরু করেন। আব্রামের মিষ্টি ডিম্পল দেখে এদিন শাহরুখের কথা মনে পড়ল অনুরাগীদের। সবাই বলল, ‘পুরো বাপ কা বেটা’।
পার্টিতে আর কারা উপস্থিত ছিলেন
এদিন আব্রামের পরনে ছিল প্রিন্টেড কালো টি-শার্ট, শর্টস ও জুতো। পার্টিতে পৌঁছেছিল আরবাজ খান এবং মালাইকা অরোরার ছেলে আরহান খান এবং সোহেল এবং সীমার বড় ছেলে নির্বান খানও। দু'জনেই কালো টি-শার্ট ও ডেনিমে পরছিলেন।
১১ তম জন্মদিন উদযাপন করেছেন আব্রাম
গত মাসের ২৭ তারিখ ১১-য় পা দিয়েছে আব্রাম। সারোগেসির মাধ্যমে ২০১৩ সালে আব্রামের বাবা-মা হন শাহরুখ-গৌরী। সেই নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। সম্প্রতি কলকাতা নাইট রাইডার্স ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মধ্যকার আইপিএল ফাইনাল ম্যাচে দেখা গিয়েছিল খুদেকে। বাবা-মা, এবং দাদা-দিদির সাথে ম্যাচ দেখতে উপস্থিত ছিল খুদে।
শাহরুখ আব্রাম সম্পর্কে যা বলেছেন
তা বিভিন্ন সাক্ষাৎকারেও তার ছেলের সম্পর্কে উচ্ছ্বসিত করেছেন। ছবির প্রতি ছোট ছেলের ঝোঁক সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, অভিনেতা এর আগে মুম্বাই মিররকে বলেছিলেন, ‘আমি জানি না, তবে রকস্টার হওয়ার জন্য যথেষ্ট সুদর্শন আব্রাম’।
আব্রামের বাড়ি
মন্নতের অন্দরে আব্রামের নিজস্ব একটি বাড়ি রয়েছে। কাঠের বাড়ি। সেই বাড়ির লাল ছাদ এবং গোটাটাই কাঠ দিয়ে গড়া। যাকে বলে ট্রি হাউস। আব্রাম দিনের অনেকটা সময় সেখানে কাটায়। ছেলের জন্য শখের এই বাড়ি তৈরি করে দিয়েছেন গৌরী খান।
দ্য কপিল শর্মা শো-তে হোস্ট কপিল শর্মার প্রশ্নের জবাবে শাহরুখ জানিয়েছিলেন ছোট থেকেই নিজের ভাষা নিয়ে বেশ কনফিউসড আব্রাম, তবে সব মিলিয়ে সে প্রকৃত অর্থে ‘দেশপ্রেমিক’ এবং ‘সর্বভারতীয় শিশু’। শাহরুখ বলেন, ‘আমার বাড়িতে সবাই মারাঠি ভাষায় কথা বলে। আমরা দিল্লির ভাষায় কথা বলি। আমার ছেলে আরিয়ান-সহ কিছু লোক ইংরেজিতে কথা বলে এবং আরিয়ানের আয়া মালয়ালম ভাষায় কথা বলে। তাই বেচারা অদ্ভুত উচ্চারণে কথা বলে যা অর্ধেক দক্ষিণ ভারতীয়, অর্ধেক মারাঠি। ও আক্ষরিক অর্থেই একজন দেশপ্রেমিক সর্বভারতীয় শিশু, যে সব ভাষায় কথা বলে’।