ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খুব কমই মুখ খুলতে দেখা যায় শাহিদ কাপুরকে। একসময় করিনা কাপুরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন শাহিদ। বিয়ের করার সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলেছিলেন, কাপুর পরিবারও শাহিদকে জামাই হিসাবে মেনে নিয়েছিলেন। পরে তাঁদের সেই মজবুত সম্পর্কও ভেঙে যায়। যদিও ঠিক কী কারণে বিচ্ছেদ তা নিয়ে কোনওদিনই মুখ খোলেননি শাহিদ বা করিনা। তবে সেসবই বহু পুরনো কথা। সবই অতীত। বর্তমানে শাহিদ-করিনা দুজনের দুপথ দুদিকে বেঁকে গিয়েছে। মীরা রাজপুতকে বিয়ে করে সুখী সংসার শাহিদের। অন্যদিকে সইফ আলি খানের সঙ্গে জমিয়ে ঘরকন্যা করছেন করিনাও।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কে থাকা ও 'হার্টব্রেক' নিয়ে মুখ খুলেছেন শাহিদ। সাক্ষাৎকারে শাহিদকে প্রশ্ন করা হয়, কেরিয়ারের কারণে তিনি কখনও একা ঘরে বসে কেঁদেছেন? উত্তরে শহীদ বলেন, ‘এটা তখনই ঘটেছিল যখন আমার হার্টব্রেক (মন ভেঙেছিল) হয়েছিল। তবে কখনও কখনও এটা ঘটে সিনেমার কারণেও এটা ঘটে। তবে আমার সঙ্গে এটা ঘটেনি। বিষয়টা খুবই খারাপ হয়েছিল। ’
সেদিনের ঘটনা বর্ণনা করে শাহিদ বলেন, 'আমার মেকআপ আর্টিস্ট দেখে বললেন, এইমাত্র আপনার মেকআপ শেষ করলাম! আর তুমি এটা কী করছো? আমি তখনও আরও কাঁদতে কাঁদতেই নিজের অবস্থা বর্ণনা করতে শুরু করি। বললাম, আমার কিছু করার নেই, মনে হচ্ছিল আমি নিজেকে ধ্বংস করছি। হ্য়াঁ, আমিও সেদিন খুব কেঁদেছি। তবে সেটা কাজের জন্য নয়।' যদিও এক্ষেত্রে প্রত্যক্ষভাবে করিনার সঙ্গে বিচ্ছেদের সময় এটা ঘটেছিল বলে উল্লেথ করেননি শাহিদ। তবে তাঁর কথাতেই সবকিছু স্পষ্ট ছিল।
শাহিদ সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, পুরুষদেরও জীবনও পরিবর্তন করা দরকার। বিশেষকরে এদেশে ছেলেদের খুব অল্প বয়স থেকেই শেখানো হয় আপনাকে সংসারের যোগানদার হতে হবে, আপনাকেই সকলের রক্ষা করতে হবে এবং পরিবারের মানুষ হয়ে উঠতে হবে। ছেলেদের মধ্যেও এই বিষয়টা আছে, যে আপনাকে সবসময় চিন্তিত থাকতে হবে, যাঁকে ভালোবাসেন, তাঁকে অবশ্যই তা রক্ষা করতে হবে। কখনও কখনও, এটাই হয়ত আমাদের উপর চাপ হয়ে দাঁড়ায়। কখনও আপনিও তো একটু হালকা থাকতে চান। এমন কেন হবে যে আমাকেই সব সময় অন্যের বিষয়ে চিন্তা করতে হবে। আমিও তো দুর্বল হতে পারি এবং অন্য কাউকে হয়ত আমাকে রক্ষা করতে হল'।
শাহিদের কথায়, ‘কখনও সখনও আমরাও কি একটু দায়িত্বও অদল-বদল করতে পারি না? অবশেষে আমরা সবাই তো মানুষ। আমরা সবারই আবেগ থাকে।’