সালটা ১৯৯২। এই বছরটা বলিউডে শাহরুখের জন্য ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১৯৯২-তে 'দিওয়ানা' ছবির হাত ধরে বলিউডে পা রাখেন 'বাদশা' ওই বছর কিং খানের ঝুলিতে ছিল আরও ৪টি ছবি। যার একটি ছিল 'ড্রিম গার্ল' হেমা মালিনী পরিচালিত ও প্রযোজিত। এই ছবির নাম ছিল 'দিল আশনা হ্যায়'। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শাহরুখের কেরিয়ারের শুরুর দিকের বিষয়ে মুখ খুলেছেন হেমা মালিনী।
হেমা বলেন, শাহরুখকে সেসময় উৎসাহিত করেছিলেন তাঁর গুরু মা। হেমা বলেন, ‘শুরুর দিকে শাহরুখকে টিভি সিরিয়াল ফৌজিতে দেখতে খুব সুন্দর ও মিষ্টি লাগত। আমি ওটা দেখতাম। সেই সময়, আমার ছবির চিত্রনাট্য তৈরি হচ্ছিল। আর সেই চরিত্রের জন্য আমি নতুন কাউকে চেয়েছিলাম। আমি বললাম, এই ছেলেটা দেখতে খুব সুন্দর, আমি ওকে চাই’।
আরও পড়ুন-'বাবাকে ফোনে বলো, রাতটা আমার সঙ্গেই থাকবে', শাহরুখের নায়িকাকে বলেন নামী পরিচালক, তারপর…

শাহরুখ-হেমা, ধর্মেন্দ্র ও দিব্যা
আরও পড়ুন-কিশোরী বয়সে রাজ কাপুরের সঙ্গে রোম্যান্টিক দৃশ্যে অভিনয়ে অস্বস্তিতে পড়েন হেমা মালিনীর
হেমা মালিনী বলেন তাঁর তার বোন শাহরুখ খানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন, তারপর শাহরুখ দেখা করতে এসেছিলেন। এমনকি তাঁরা শাহরুখকে তাঁর স্বামী ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন, তিনিও ওকে 'ভালোবাসতেন'। হেমা বলেছিলেন যে তাঁর 'গুরু মা' তাঁকে ভবিষ্যৎবাণী করে বলেছিলেন যে তিনি একটি বিশাল তারকার মুখোমুখি হতে চলেছেন। হেমার কথায়, ‘আমি বললাম, মা, আমি একটা ছবি বানাচ্ছি। আর উনি আশনা হ্যায় নাম দিয়েছিলেন। তিনি আমায় বলেন, তুমি খুব বড় নায়ককে পেতে চলেছো। আমি বুঝতে পারিনি, আমি ওকে বলি আমাদের একজন নতুন নায়ক আছে। তারপর তিনি বলেন, না, না, না, তুমি অনেক বড় হিরো পেতে চলেছো। আর এখন ও অনেক বড় হয়ে গেল, তাইনা? তিনি বছরের পর বছর দেখতে পেতেন, যে কী ঘটতে চলেছে।’ হেমা তাঁর আত্মজীবনীতে লেখেন, 'শাহরুখ দিল আশনা হ্য়ায়'-তে সই করার পরই ওই সপ্তাহে আরও ৪টি ছবিতে সই করেন।
হেমা মালিনী তাঁর নিজের প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কৃতিত্বও তাঁর গুরু মাকে দেন। বলেন, তিনি তাঁকে ধর্মেন্দ্রকে বিয়ের কথা বলেছিলেন, এমনকি তিনিই নাকি হেমাকে 'বাগবান' ছবিতে অভিনয়ের পরামর্শ দেন।