বাংলাদেশের অন্দরেই এখন শাকিব খানকে নিয়ে সমালোচনা। কেন বারবার লুকিয়ে বিয়ে করছেন, বাচ্চার পরিচয় গোপন রাখছেন, বিচ্ছেদ নিচ্ছেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এমনকী পড়শি দেশের আঁচ পড়েছে এপার বাংলাতেও। সম্প্রতি এই নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। ‘ঢালিউড কিং’ বিয়ে-সম্পর্ক-দুই ছেলের প্রতিপালন নিয়ে মুখ খুললেন এই প্রথম।
দৈনিক ইত্তেফাক-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুসারে শাকিব সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানান, ‘এখন পর্যন্ত একশোর বেশি ছবিতে কাজ করেছি। তাই বলে আমি কি প্রত্যেক নায়িকার সঙ্গে প্রেম-বিয়ের সম্পর্কে জড়িয়েছি? সবার সঙ্গে কি আমার স্ক্যান্ডাল আছে? মাত্র দুজনকে বিয়ে করেছি আমি। বাকি যেসব খবর রটেছে তা আসলে গুঞ্জন। না হলে কি যাদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক হয়েছিল তাঁরা আমার নামে মুখ বন্ধ রাখত?’
এরপর শাকিব দাবি করেন, একাধিক বিয়ের ঘটনা খুবই সাধারণ একটা ব্যাপার। বলিউড-হলিউড এমনকী টলিউডেও এমনটা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের অভিনেতার কথায়, ‘টালিগঞ্জের জনপ্রিয় নায়ক প্রসেনজিৎ চারটি বিয়ে করেছেন, ইলন মাস্কও চারটি বিয়ে করেছেন, কই তাদের নিয়ে তো সেসব দেশের মানুষ টুঁ শব্দ করে না।’
শাকিব আরও জানান, তারকাদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে চর্চা থাকেই সাধারণ মানুষের মধ্যে। কিন্তু একজন তারকার পক্ষে তাঁর সমস্ত ব্যক্তিগত দিক বাইরে আনা সম্ভব নয়। অভিনেতার কথায়, ‘একজন সেলেব্রিটির বেডরুম দৃশ্যও কি পাবলিককে দেখানো যায়? তাঁদের জীবনে প্রাইভেসি বলে কি কিছু থাকতে নেই?’
বুবলীর সঙ্গেই এখন জীবন কাটাবেন কি না সে প্রশ্নের উত্তরে শাকিবের জবাব, ‘বিচ্ছেদের জন্য তো আর কেউ বিয়েটা করে না। সুন্দর সংসার আর সুখের জন্যই করে। আমিও এখন সুখের একটা সংসার চাই।’
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে শাকিব খানের নামে বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন অপু বিশ্বাস। সেদেশের এক টিভি চ্যানেলে এসে কেঁদে কেঁদে জানিয়েছিলেন ২০০৮ সালে লুকিয়ে বিয়ে করেন তাঁরা। ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর কলকাতায় তাঁদের একটি ছেলেও হয়। কিন্তু বাইরের মানুষের সামনে ছেলে-বউকে স্বীকৃতি দিতে রাজি নন শাকিব। এরপর ২০২২-এ এসে বোমা ফাঠান বাংলাদেশেরই আরেক নায়িকা শবনম বুবলী। বেবিবাম্পের ছবি শেয়ার করেন শাকিবের ছেলের জন্মদিনে। ঠিক তার তিন দিন পর তিনি ও বাংলাদেশের অভিনেতা যৌথ বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেন ২০২০ সালেই শাকিবের সন্তানের মা হয়েছেন বুবলী। এবারও বেশ নাটকীয়ভাবেই সামনে আসে শাকিবের দ্বিতীয় সন্তানের খবর। বারবার সন্তান আর বিয়ে নিয়ে এরকম লুকোছাপাই বিরক্ত করেছে বাংলাদেশের মানুষকে।