জমাইষষ্ঠীর দিনই খোদ শ্বশুরবাড়ির শহর কলকাতায় এসে চমকে দিয়েছেন আশিস বিদ্যার্থী। এই শহরে এসেই দ্বিতীয় বিয়ে করে ফেলেছেন কলকাতার জামাইবাবু। প্রাক্তন রাজোশি বড়ুয়াকে ভুলে এবার অসমের রূপালি বড়ুয়াকে জীবনসঙ্গী বেছেছেন জাতীয় পুরস্কারজয়ী অভিনেতা। তা আবার ৬০ বছর বয়সে পৌঁছে! প্রাক্তন স্বামীর এমন পদক্ষেপে মুখে কিছু না বললেও ইনস্টাস্টোরিতে ইঙ্গিতপূর্ণ কিছু কথা লিখেছেন প্রাক্তন রাজোশি।
কিন্তু কেন ভেঙেছিল রাজোশি বড়ুয়ার সঙ্গে আশিস বিদ্যার্থীর বিয়ে? এবিষয়েই মুখ খুলেছেন আশিসের প্রাক্তন শাশুড়িমা, অভিনেত্রী শকুন্তলা বড়ুয়া। আনন্দবাজার অনলাইনকে শকুন্তলা বড়ুয়া জানিয়েছেন, এতবছর বিবাহিত জীবনে তিনি কখনও মেয়ে এবং প্রাক্তন জামাইয়ের মধ্যে ঝগড়া দেখেননি। তাই কী ঘটেছে, তাঁরও বোঝার বাইরে। শকুন্তলা জানিয়েছেন, আর পাঁচজন মায়ের মতো তিনিও তাঁর মেয়েকে নিয়ে চিন্তা করেন। জানতেন মেয়ে ভালো আছে। যদিও এরপরেও প্রাক্তন জামাই আশিসকে ‘ভালো ছেলের’ই তকমা দিয়েছেন তিনি। এতকিছুর পরেও প্রাক্তন জামাইকে আশীর্বাদ করেছেন শকুন্তলা বড়য়া। তাঁর কথায়, দুজনেই প্রাক্ত বয়স্ক, তাই কিছুই বলার নেই। ওরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমার সঙ্গে কথাও বলেনি।
শকুন্তলা বড়ুয়া জানান, আশিস-রাজোশির ছেলেও এখন বড়, তিনিও চাকরি করছেন, কিছুদিন আগে তাঁর সঙ্গে দেখাও করে গিয়েছেন। এদিকে শকুন্তলা বড়ুয়ার মেয়ে রাজোশি বড়ুয়ার সঙ্গে আশিস বিদ্যার্থীর দাম্পত্য জীবন ছিল দীর্ঘ ২২ বছরের। তাঁদের সুখে সংসার ভাঙার ঘটনাতেও যেমন সকলে অবাক তেমনই অবাক তাঁর দ্বিতীয় বিয়ের সিদ্ধান্তে।
এদিকে প্রাক্তন স্বামীর বিয়ের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করেন রাজোশি বড়ুয়া। লেখেন, ‘মনে রাখবেন, কাছের মানুষ কখনও আপনাকে প্রশ্ন করবেন না যে, আপনি তাঁকে ঠিক কী বলতে চাইছেন! যাতে আপনি আঘাত পাবেন, তিনি সেটা করবে না।' আরও একটি পোস্টে নিজেই নিজেকে শান্ত করে লেখেন, 'আপনার মন থেকে অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা এবং সন্দেহ দূর হয়ে যাক। ব্যাখ্যা করতে গেলে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে, শান্তি ও প্রশান্তি আপনার জীবনকে পূর্ণ করুক। আপনি অনেক দিন ধরেই শক্ত ছিলেন, ঈশ্বরের আশীর্বাদ নিয়ে নতুন শুরু করা যাক। কারণ আপনি এর যোগ্য'। প্রসঙ্গত, মুখে কিছু না বললেনও রাজোশি বড়ুয়ার এই পোস্টেই অনেকে অনুমান করেন, তিনি হয়ত মানসিক কষ্টে আছেন, তবে সব ভুলে আবার নতুন শুরুর কথা ভাবছেন।