তিনি ছিলেন স্ব-ঘোষিত গডম্যান। নাম যদুনাথজী মহারাজ ওরফে জেজে। আর সেটা ছিল ১৮০০ সাল, ব্রিটিশ শাসনাধীন ভারত। সেসময় যিনি কিনা একসময় নিজের চারপাশে পৌরাণিক কাহিনী তৈরি করে অল্পবয়সী যুবতী মহিলাদের 'চরণসেবা' নামক এক অনুষ্ঠানে বিশ্বাস করাতেন। যেখানে মহিলাদের তাঁর কাছে সমর্পণ করতে হত। অসলেই যেটা ধর্ষণের নামান্তর। একসময় সেই অনৈতিক কাজকর্ম ও অনৈতিক যৌনাচার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সাংবাদিক, সমাজসেবক করসানদাস মুলজি। যে কারণে ব্রিটিশ ভারতে করসানদাসের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন যদুনাথজী মহারাজ।
সেই বাস্তব কাহিনী অবলম্বনেই গুজরাটি লেখক সৌরভ শাহ ‘মহারাজ’ উপন্যাস লেখেন। সম্প্রতি 'মহারাজ' ছবিতে স্ব-ঘোষিত গডম্যানের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জয়দীপ আহলাওয়াত। যদুনাথজী মহারাজ ওরফে জেজে-র চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। আর সাংবাদিক করসানদাসের চরিত্রে অভিনয় করেছেন আমির খান পুত্র জুনইদ। তাঁর প্রেমিকা কিশোরীর চরিত্রে দেখা গিয়েছে শালিনী পাণ্ডেকে। 'মহারাজ' ছবিতেও সম্প্রতি 'চরণসেবা'র নামে সেই অনৈতিক যৌনাচারের দৃশ্য উঠে এসেছে। যেখানে ‘কিশোরী’র সারল্যে ভক্তির সুযোগ নেবেন জেজে। জয়দীপ আহলাওয়াতের সঙ্গে সেই যৌন দৃশ্যে অভিনয় নিয়ে এবার মুখ খুললেন অভিনেত্রী শালিনী পাণ্ডে।

শালিনীর কথায়, অর্জুন রেড্ডি সহ বিভিন্ন সিনেমায় ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করেছেন তিনি। তবে তাঁকে এধরনের অস্বস্তির মুখোমুখি হতে হয়নি। শালিনী জানিয়েছেন জয়দীপের সঙ্গে সেই দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে অস্বস্তিতে সেট ছেড়ে বের হয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
হ্য়াঁ, একথা নিজের মুখেই স্বীকার করেছেন শালিনী পাণ্ডে। ঠিক কী বলেছেন তিনি?
শালিনীর কথায়, ‘যখন চিত্রনাট্য পড়েছিলাম, তখন ওই মেয়ের চরিত্রটিকে অত্যন্ত বোকা বলে মনে হয়েছিল। তবে যখন শ্যুটিং করতে যাই, তখন বুঝিছে, পরিস্থিতিই তাঁকে বিশ্বাস করিয়েছিল যে সে যা করছে তা ঠিক। আর সমাজ তখন এসব থেকে চোখ বন্ধ করে থাকত।’ শালিনী বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত আমি চরণ সেবার ওই দৃশ্যে অভিনয় করিনি, ততক্ষণ আমি বুঝিনি যে আমার উপর এটা কী প্রভাব ফেলতে চলেছে। আমি ওই দৃশ্যের সময় হঠাৎই সেট থেকে বাইরে চলে যাই। আমি টিমকে জানিয়ে দিয়েছিলাম, আমার একটু সময় লাগবে। আমি আর বন্ধ ঘরে থাকতে পাচ্ছি না। আমার একটু মুক্ত বাতাস লাগবে।’
সহ-অভিনেতা জয়দীপ অহলাওয়াত প্রসঙ্গে শালিনী বলেন, 'উনি অবশ্যই বিষয়টা বুঝতে পেরেছিলেন। পরিচালকও বুঝেছিলেন, আর তাই তাঁরা তাঁকে সময় দিয়েছিলেন।'