ওয়েস্ট বেঙ্গল মোশন পিকচারস আর্টিস্ট ফোরামের নির্বাচন ঘিরে রবিবার দিনভর টলিগঞ্জে উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে। পুরোদস্তুর সংসদীয় নির্বাচন পদ্ধতির অনুকরণ গোপন ব্যালটে ভোটগ্রহণ হয় এদিন। অবশেষে নির্বাচনের রায় সামনে এল। এবারের আর্টিস্ট ফোরামের নির্বাচনে রাজনীতির রঙ লেগেছিল। তাই বাড়তি গুরুত্ব ছিল টলিপাড়ার এই নির্বাচনকে ঘিরে। ফলাফল বলছে গেরুয়া শিবিরের রঙ এখনও ফিকে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। শাসকদল ঘনিষ্ঠ প্রার্থীরাই জয়ী হয়েছেন নির্বাচনে।
কার্যকরী সভাপতি পদে জয়ী শঙ্কর চক্রবর্তী। অঞ্জনা বসু, ভরত কল, পার্থসারথি দেবকে পরাজিত করেন তিনি। ভরত কল তাঁকে কঠোর প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে ফেললেও শেষহাসি হাসলেন শঙ্কর চক্রবর্তী, ৮৬ ভোটে জয়ী হন তিনি। এর আগে আর্টিস্ট ফোরামের কার্যকরী সভাপতি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। কিছুদিন আগে নিজেই দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান বুম্বাদা।
রবিবার দক্ষিণ কলকাতার যোদপুরপার্ক স্কুলে চলছে ভোটগ্রহণ পর্ব। আর্টিস্ট ফোরামের ২৫০০ সদস্যের ভোটের ভিত্তিতে জয়ীদের বেছে নেওয়া হয়েছে।
অনান্য পদে জয়ীদের তালিকা-
সহ সভাপতি- জিত, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সোহম চক্রবর্তী।
সধারণ সম্পাদক- অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়
সহ সম্পাদক- রাণা মিত্র ও দেবদূত ঘোষ
যুগ্ম সম্পাদক- সপ্তর্ষি রায় ও শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়
এক্সিকিউটিভ কমিটির নির্বাচিত সদস্যরা হলেন-
কুশল চক্রবর্তী
সোনালী চৌধুরী
জুন মালিয়া
সাগ্নিক
দিগন্ত চট্টোপাধ্যায়।
রবিবার আর্টিস্ট ফোরামের নির্বাচনে ভোট দিতে হাজির ছিলেন দেব থেকে প্রসেনজিত্ সকলেই। প্রসঙ্গত আগেই, আর্টিস্ট ফোরামের সভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।
১৯৯৮ সালের ১২ মার্চ প্রতিষ্ঠিত হয় টলিপাড়ার শিল্পীদের এই সংগঠন। শিল্পীদের পেমেন্ট সংক্রান্ত সমস্যা থেকে নতুন শিল্পীদের রেজিস্ট্রেশন, টলিগঞ্জের সুবিধা-অসুবিধা দেখার জন্যই আর্টিস্ট ফোরামের জন্ম।
আর্টিস্ট ফোরামের নির্বাচনী ফলাফলে বেশ অস্বস্তিতে রাজ্য বিজেপি। কার্যকরী সভাপতি পদে হেরেছেন বিজেপির সদস্য অঞ্জনা বসু। যুগ্ম সম্পাদক পদের দৌড়ে থাকা শর্ববী মুখোপাধ্যায়কেও হারের মুখ দেখতে হয়েছে। এমনকি এক্সিকিউটিভ কমিটিতে জায়গা করতে পারলেন না রয়েছেন লামা, অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায়, কৌশিক চক্রবর্তীর মতো বিজেপি সদস্যরা। ফলে অনেকটাই স্বস্তিতে তৃণমূল শিবির।