‘অ্যায় ওয়াতন ওয়াতন মেরি আবাদ রহে তু’ গেয়েছিলেন আরাত্রিকা সিনহা গত সপ্তাহে সারেগামাপা-তে। আর সেখানে দেখা যায়, তাঁর পারফরমেন্সের পর রীতিমতো উচ্চারণ ও ভাবপ্রকাশের সমালোচনা করেন শান্তনু মৈত্র। আর জি বাংলার তরফে সেই প্রোমো অনলাইনে শেয়ার হওয়ার পর থেকেই, শুরু হয়ে গিয়েছে রীতিমতো সমালোচনা।
শান্তনুকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘এই ওয়াতনটায় আমার একটু ওয়াতন চাই। এত হালকা ছেড়ে দিলে ব্যাপারটা জমছে না…’। এরপর শান্তনু নিজেই ‘ওয়াতন’-এর উচ্চারণ ঠিক কীভাবে করতে হবে, তা গেয়ে দেখান। এরপর আরাত্রিকার ‘আবাদ’ শব্দের উচ্চারণ নিয়েও আপত্তি তোলেন তিনি। তারপর পরামর্শ দেন, আরাত্রিকা যাতে কঠিন হিন্দি শব্দগুলোর তলায় দাগ দিয়ে, সেগুলোর মানে জেনে নিয়ে তারপর গান পরিবেশন করেন। এতে ভাবের বহিঃপ্রকাশ আরও সঠিক করে করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: ‘মা-ছেলে লাগছে…’! নির্বাণ বিড়লার সঙ্গে মাখোমাখো ছবি দিতেই কটাক্ষ করা হল আমিশাকে, বয়সে কত বড় তিনি
শান্তনুক বলতে শোনা যায়, ‘এই জন্যই বলছি। বাংলাতো তুই জানিস খুব ভালো করে। আগের এপিসোডে যেমন বলেছিলাম, আন্ডারলাইন কর এই কথাগুলোকে। তুই যদি পুশ করিস তাহলে ব্যাপারটা আরও গরম হয়ে উঠবে।’ আর এরই মাঝে দেখা যায়, আরাত্রিকার টিম হেড জাভেদ রীতিমতো হাঁ করে শুনছেন শান্তনু মৈত্রের থেকে আসা সমালোচনা। বলে রাখা ভালো, টিম জাভেদ-জোজো-র টিমে রয়েছেন বাঁকুড়ার ভাদুলের এই মেয়েটি।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার রাস্তায় কফির কাপ হাতে ফ্রেমবন্দি বিরাট-অনুষ্কা! সঙ্গে থাকা ভামিকার মুখও কি দেখা গেল
দেখুন-
তবে এই প্রোমো অনলাইনে শেয়ার হওয়ার পর রীতিমতো কটাক্ষের মুখে পড়তে হল শান্তনু মৈত্রকে। একজন লিখলেন, ‘জাভেদ আলিই কনফিউজড হয়ে গেছে, বিচার করা দেখে’। আরেকজন লেখেন, ‘টাকলু কাকু গানের স্কেল বুঝতে পারে না, সে আবার বিচারক হয়েছে ?? অগত্যা।।’ চতুর্থজন আবার লিখলেন, ‘উনি আসলে সোনু নিগম হওয়ার চেষ্টা করছে, কিন্তু উনি সফল হতে পারছেন না’।
আরও পড়ুন: ১৩তম দিনে এসেও ভুল ভুলাইয়া ৩ বুড়ো আঙুল দেখাল সিংঘম এগেইনকে, বুধবারের আয় কত
যদিও অনেকেই নিয়েছেন শান্তনু মৈত্রর পক্ষ। একজন লেখেন, ‘যদি ভালো শিক্ষক হয় তবে ঠিক এই ভাবেই শেখাবে। ভুলগুলো শোধরানো তাদেরই কাজ, যারা গান বোঝেন না তারা একটু চুপ করেই থাকুন।’ আবার আরেকজন লেখেন, ‘এখানে যারা নেগেটিভ কমেন্ট করেছে, তারা গানের গ জানে না। শান্তনু মৈত্রের সমালোচনা করতে গেলে যোগ্যতা লাগে।’