শার্ক ট্যাঙ্ক ইন্ডিয়ায় খোঁজ মিলল ২০২৩ সালের প্যাডম্যানের। এক দুর্দান্ত ভাবনা নিয়ে তিনি হাজির হয়েছিলেন এই মঞ্চে। এটি এমন একটি পোর্টাল যা দেশ তো বটেই একটি গ্লোবাল প্রোডাক্ট হয়ে উঠতে পারে! কী সেটা? প্যাডকেয়ার।
দেশে কত কীই না আবিষ্কার হয়, কিন্তু তার কতটুকু আমরা জানতে পারি? তবে এবার জানা গেল, তাও জাতীয় টেলিভিশনের মঞ্চে। শার্ক ট্যাঙ্ক ইন্ডিয়ায় এক উদ্যোগপতি এলেন, নাম অজিঙ্ক ধরিয়া। তাঁর ভাবনা, প্রোডাক্ট সকলকে তাক লাগিয়ে দিল।
তিনি শার্ক ট্যাঙ্ক ইন্ডিয়ার মঞ্চে এসে জানালেন ভারতে প্রতিবছর ১২০০ কোটি স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা হয়। আর এর মধ্যে ৫৮ শতাংশ প্যাড জমি ভরাট করতে বা জলাশয়ে ফেলে দেওয়া হয়। ফলে এটা পরিবেশের জন্য যে কতটা খারাপ সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। পরিবেশকে বাঁচাতে, একই সঙ্গে এই সমস্যা দূর করতে এই উদ্যোগপতি প্যাডকেয়ার বানিয়েছেন। এটি একটি হেলথ টেক ব্র্যান্ড।
পুনের এই স্টার্ট আপ কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা শার্কদের মুগ্ধ করেছে। তিনি এই মঞ্চে তাঁর এই প্রোডাক্ট নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু এই বিষয়টা ঠিক কী? এটা আদতে একটি প্যাড ডিসপোজাল মেশিন। আর ডিসপোজাল মেশিনে ফেলে দেওয়া প্যাড রিসাইকেল এবং রিইউজ করা যাবে, এমনটাই জানান তিনি।
এই মঞ্চে এসে অজিঙ্ক ৫০ লাখ টাকা চান ২ শতাংশ ইকুইটিতে। তিনি জানান, 'আমি ক্লাস ৫ থেকে জানতাম আমি ব্যবসা করব, একই সঙ্গে এমনকিছু করব যা পরিবেশকে ভালো রাখবে।' শেষ পর্যন্ত তাঁর ভাবনা শার্কদের এতটাই মুগ্ধ করে যে তিনি ১ কোটি টাকা ফান্ড পান তাঁর এই ব্যবসার জন্য তাও ৪ শতাংশ ইকুইটিতে। পীযূষ বনসল তো তাঁকে ব্ল্যাঙ্ক চেক পর্যন্ত দিতে চেয়েছিলেন!
এতদিন সবাই এসে তাঁদের ব্যবসার জন্য ফান্ড চাইতেন, নানা কথা বলে দরদাম করতেন, কিন্তু এদিন অজিঙ্ক যা চাইলেন তাঁর দ্বিগুণ পেলেন প্রোডাক্ট এবং ভাবনার জোরে। পীযূষ বনসল বলেন, 'আপনি ৫০ লাখ নিতে এসছিলেন না, আপনি ১ কোটি, ১.৫ কোটি, ১.৭৫ কোটি, ২ কোটি যা চান নিয়ে যান।' অমন গুপ্ত বলেন, 'শার্ক ট্যাঙ্কে এমন কখনও হয়নি আগে। শার্করা উদ্যোগপতিকে এভাবে ওপেন অফার দিচ্ছে।'
সোনি টিভির তরফে এই ভিডিয়ো ফেসবুকে পোস্ট করা হয়। লেখা হয়, 'একটি ভারতীয় প্রোডাক্ট যা বিশ্বমানের প্রোডাক্ট হয়ে উঠতে পারে। দেখুন এই দুর্দান্ত আবিষ্কারের কথা শার্ক ট্যাঙ্ক ইন্ডিয়ায়।'
এই শোটি সোম থেকে শুক্রবার পর্যন্ত রাত ১০টায় সোনি টিভিতে দেখা যায়। এখানে শার্ক হিসেবে এবার রয়েছেন অমন গুপ্ত, নমিতা থাপর, পীযুষ বনসল, প্রমুখ।