গত মাসে সইফ আলি খানের উপর ঘটা হামলা নিয়ে চর্চার শেষ নেই। তবে এই বিপদের সময় পাশে পুরো পরিবারকেই পেয়েছিলেন অভিনেতা। ছিলেন মা বর্ষীয়ান অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুরও। সেই সময় ছেলের কষ্ট লাঘব করতে ছোটবেলার মতো নায়ককে ঘুমপাড়ানি গান গেয়েও শুনিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
দিল্লি টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সইফ জানিয়েছিলেন মা শর্মিলা তাঁর হাত ধরে ঘুমপাড়ানি গান গেয়েছিলেন, যেমনটা তিনি ছোটবেলায় করতেন। বান্দ্রার বাড়িতে সইফ আলি খানের উপর হামলা চালায় এক অনুপ্রবেশকারী। ছুরিকাঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয় অভিনেতার শরীর। রক্তাক্ত অবস্থাতেই স্ত্রী করিনা, আট বছরের ছেলে তৈমুরকে সঙ্গে নিয়ে অটো করে হাসপাতালে নিয়ে যান অভিনেতাকে।
আরও পড়ুন: শিল্পা রাওয়ের সঙ্গে গেয়ে মঞ্চ মাতালেন এড শিরান! কোন তামিল গান শোনালেন রকস্টার
কিন্তু অনুপ্রবেশকারীরকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা বা ছোট্ট তৈমুরকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে কি মা শর্মিলা রেগে গিয়েছিলেন? এই প্রশ্নের উত্তরে সইফ বলেন, ‘প্রথমত, তৈমুরকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা মা খুব সমর্থন করেছিলেন। আমি ভেবেছিলাম মা হয়তো এতে বিরক্ত হবেন। কিন্তু তিনি বলেন, ‘না, তুমি একদম ঠিক করেছিলে। তুমি ওকে এই পরিস্থিতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে ওর সামনে নতুন দিক খুলে দিয়েছ। আমি বলতে চাইছি যে ও নিজেকে যে কোনও পরিস্থিতির জন্য তৈরি করার শিক্ষাটা পেয়েছে।’ তাছাড়াও মা সম্পূর্ণ ভাবে সেই সময় আমাদের যে প্রতিরক্ষামূলক মানসিকতা ছিল অর্থাৎ ওকে আগলে রাখার যে বিষয়টা আমাদের মধ্যে কাজ করেছিল তা বুঝতে পেরেছিলেন।'
নায়ক আরও বলেন, 'আমার মনে আছে আমি যখন ছোট ছিলাম তখন মা আমাকে বলেছিলেন যে 'যদি কেউ কখনও তোমাকে আঘাত করার চেষ্টা করে তবে আমি পথে নামব।' এর প্রভাব আমার ওপরও পড়েছিল। বাবা-মা তো যে কোনও পরিস্থিতিতেই নিজের সন্তানকে রক্ষা করার চেষ্টা করবে সুতরাং আমি মনে করি এটা প্রতিটা মা-বাবার সহজাত প্রবৃত্তি। আমার মা আমাদের প্রতি প্রতিরক্ষামূলক ছিলেন।'
আরও পড়ুন: ‘আমরা এই ব্যাপারে…’, তথাগতর সঙ্গে হয়নি ডিভোর্স, সৌম্যর সঙ্গে প্রেম করছেন দেবলীনা? এল জবাব
এরপর অভিনেতা তাঁর চিকিৎসা চলাকালীন সময়ের কথা উল্লেখ্য করে বলেন। চিকিৎসকরা আমাকে নিয়ে তখন উদ্বিগ্ন ছিলেন। যাতে কোনও ভাবেই ইনফেকশন না হয় তার জন্য সকলকে মাস্ক পরার কথা বলেছিলেন। তাই সবটা নিয়ে মা বেশ ভয়ে ছিলেন।'
সইফ জানিয়েছেন, সেই সময় শর্মিলা তাঁর জন্য গানও গেয়েছিলেন। নায়কের কথায়, ‘মা আমার হাত ধরেছিলেন। আমার জন্য একটি গানও গেয়েছিলেন। সেটা যে আমাকে ওই পরিস্থিতেও কতটা শান্তি দিয়েছিল, আমি তা বলে বোঝাতে পারব না। মা ঘুমপাড়ানি গান গেয়েছিলেন। ছোটবেলা পর আর এমনটা মাঝে হয়নি।’