ক্রিকেট দুনিয়া ও বলিউডের মেলবন্ধন বহুদিনের। আজ ক্রিকেট তারকা বিরাট কোহলি ও অভিনেত্রী অনুষ্কা শর্মার জুটি নিয়ে যতটা আলোচনা হয়, একদিন টাইগার পতৌদি ও শর্মিলা ঠাকুরের জুটি নিয়েও ঠিক ততটাই আলোচনা হত। ২০১৭ বিরাট-অনুষ্কার বিয়ে নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল, ঠিক তেমনই ১৯৬৮ সালে ক্রিকেট তারকা, নবাব মনসুর আলি খান পতৌদিকে যখন ঠাকুর বাড়ির মেয়ে শর্মিলা বিয়ে করলেন, তা নিয়েই কিছু কম চর্চা হয়নি।
তবে অনুষ্কা যেমন ক্রিকেট মাঠে উপস্থিত থাকেন, খেলা নিয়ে স্বামী বিরাটের সঙ্গে আলোচনাও করেন, সে যুযোগ নাকি শর্মিলার ছিল না। সম্প্রতি সেবিষয়েই কথা বলেছেন শর্মিলা ঠাকুর। আইনজীবী কপিল সিব্বলের সঙ্গে এক কথোপকথনে শর্মিলাকে IPL-T20 ওয়ার্ল্ডকাপ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে হেসে ফেলেন শর্মিলা। কিছুটা মজা করেই তিনি বলেন, ‘আমার 'নিকাহনামা'-থেতে ক্রিকেট-সম্পর্কিত সমস্ত আলোচনা থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, আমি যেন কখনও ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা, কথা না বলি।’ শর্মিলার কথায়, ‘আমি ক্রিকেট নিয়ে কথা বলার যোগ্য নই। আমি শুধু জানি, একটি ভাল সিনেমা করতে খুব বেশি অর্থ লাগে না। কিংবদন্তি সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে কাজ করে আমি শিখেছি যে দুর্দান্ত সিনেমা তৈরির জন্য বড় বাজেটের থেকও কল্পনা এবং সৃজনশীলতা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
শর্মিলার কথায়, ‘ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। আমি নিশ্চিত যে অল্প বাজেটের ছোট ছবিরও দর্শকরা দেখে, যদি সেটা ভালো করে বানানো যায়। কিংবদন্তি সত্যজিৎ রায় এটা আমায় শিখিয়ে গিয়েছেন। এমনকি যে ছবিটা কান চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কার জিতল সেই অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইটও- কোনো ব্যয়বহুল ছবি নয়, আমি নিশ্চিত যে এটা যখন এখানে মুক্তি পাবে তখনও লোকেরা ঠিক সেটা দেখতে যাবে।'
শর্মিলা ঠাকুর এখন ক্রিকেট নিয়ে কথা না বললেও, তিনিও একসময় ক্রিকেট অনুরাগী ছিলেন। ক্রিকেটের প্রতি ভালোলাগা থেকেই ক্রিকেটার, নবাব মনসুর আলি খান পতৌদির প্রেমে পড়েছিলেন শর্মিলা। বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমরা কলকাতায় একটা ক্রিকেট পার্টিতে দেখা করেছিলাম এবং তারপর আমরা একে অপরের ফোন নম্বর দেওয়া নেওয়া করেছিলাম।'
শর্মিলার কথায়, 'এরপর আমি একদিন সেই নম্বরে ফোন করলাম এবং টাইগার উত্তর দিল, এবং সে হাসছিল। বিভিন্ন মজা, রসিকথা করত। ও বলল, আমরা কি কফি খেতে যেতে পারি? আমি বললাম, হ্যাঁ, আমরা কফি খেতে বের হব। এভাবেই শুরু হয়েছিল। আর এটা চলতে থাকে।