Sharmila Tagore: ‘আমার হাসি থামেনি’, জাতীয় পুরষ্কার পেয়েও কেন এমনটা জানালেন শর্মিলা?

Sharmila Tagore: একটি সাক্ষাত্কারে, প্রবীণ অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর গুলমোহর ৭০ তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কারে সেরা হিন্দি চলচ্চিত্রের সম্মান পাওয়ার বিষয়ে কথা বলেছেন।

১৩ বছর পর গুলমোহরের হাত ধরে অভিনয়ে ফিরেছেন শর্মিলা ঠাকুর। এবং তিনি মুগ্ধ যে ছবিটি ৭০ তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কারে সেরা হিন্দি চলচ্চিত্র হিসাবে মনোনীত হয়েছে। প্রবীণ এই অভিনেত্রী বলেছেন যে জাতীয় সম্মান বিশাল মর্যাদার, তিনি আরও বলেন যে তিনি খুশি যে লোকেরা তাঁকে একটি সমকামী চরিত্রে গ্রহণ করেছে, যা তাঁর কেরিয়ার জীবনের একটি 'বিশাল ঝুঁকি' ছিল।  সহ-অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ী ছবিটির জন্য একটি বিশেষ সম্মান পেয়েছেন। শুক্রবার এই পুরষ্কার ঘোষণা করা হয়।

শর্মিলার প্রতিক্রিয়া

অভিনেত্রী জানিয়েছেন যে তিনি যখন মধ্যাহ্নভোজের জন্য বসেছিলেন তখনই তাঁর ফোন বেজে ওঠে এবং তারপর থেকে তিনি হাসি থামাননি।

তিনি জানান, ‘আমি চাঁদের উপরে ভাসছিলাম যেন। সবে দুপুরের খাবার খেতে বসেছি, তখন আমাকে খবরটি দেওয়ার জন্য একটি ফোন পেলাম। ফোন কলের পর আমি খুব খুশি হয়েছিলাম। তারপর থেকে আমার হাসি থামেনি। আমি রাহুল (পরিচালক), মনোজ এবং দলের প্রত্যেককে ফোন করেছিলাম খুশি ভাগ করে নেওয়ার জন্য,’ শর্মিলা তাঁর  কণ্ঠে গর্বের সঙ্গে যোগ করলেন, ‘এটি এত ভালো যে আমরা সবাই যোগাযোগ রেখেছি এবং এখন আমরা সবাই উত্তেজনা ভাগ করে নেওয়ার জন্য একে অপরকে ফোন করছি।’

‘এটা চমৎকার যে আমরা সবাই এত ভালোভাবে একত্রিত হয়েছি এবং এই চলচ্চিত্রটির এত সুন্দর একটি যাত্রা ছিল। একজন অনেক পুরষ্কার পেয়েছে, তবে এটি উপভোগের একটি সম্মিলিত অভিজ্ঞতার মতো। এ যেন বিয়ের উৎসব। আমরা খুব খুশি। এতে আমরা সবাই একসঙ্গে আছি। আমরা মনোজের জন্যও  খুব খুশি।’

ছবিতে তাঁর  চরিত্র

শর্মিলা গুলমোহরে একটি সমকামী চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন এবং দর্শকরা এটি গ্রহণ করায় তিনি আনন্দিত। তিনি বলেন, ‘এটি ভাগ্য যে আমি ছবিটি করেছি। রাহুল আমার কাছে এসেছিলেন এবং আমি প্রজেক্টটি পছন্দ করেছি। এটা করতে যথেষ্ট নার্ভাস ছিলাম। এটি এমন একটি অংশ যা আমি কখনও করিনি ... দর্শকরা তা গ্রহণ করেছেন... আমার একজন ব্যক্তিত্ব আছেন যিনি সব সঠিক কাজ করেছেন এবং এটি বিতর্কিত কিছু ছিল। এবং এটি একটি প্লাস পয়েন্ট হিসাবে পরিণত হয়েছিল কারণ তরুণ প্রজন্ম এটি গ্রহণ করেছিল। এটি প্রত্যাশার বাইরে চলে গেছে’। 

এর আগে ১৯৭৬ সালে 'মৌসম' ও ২০০৩ সালে 'আবরার অরণ্যে' ছবির জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার পান শর্মিলা।

জাতীয় সম্মান প্রসঙ্গে অভিনেতা বলেন, 'জাতীয় পুরস্কার মানে অনেক কিছু। এটি সমস্ত ভাষার জন্য ভারতীয় পুরস্কার। এটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ... অন্যান্য চলচ্চিত্র পুরষ্কারের চেয়ে এটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সেগুলোও মর্যাদাপূর্ণ, কিন্তু জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার শ্রেষ্ঠ পুরস্কার।

তাঁর কামব্যাক ফিল্ম জাতীয় পুরস্কারের সম্মান পাওয়ার অর্থ কি এই যে পর্দায় তাঁর কাছ থেকে আরও বেশি কিছু আশা করা যেতে পারে?

তিনি হেসে বলেন, ‘ওহ অবশ্যই হ্যাঁ, এটি একটি প্রতিশ্রুতি। ’

 

রাহুল ভি চিত্তেল্লা পরিচালিত 'গুলমোহর' ছবিতে অভিনয় করেছেন মনোজ বাজপেয়ী, সিমরান ও সুরজ শর্মা। শর্মিলা বাত্রা পরিবারের বিধবা মা কুসুমের চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যিনি ছবিতে তাঁর সন্তান এবং নাতি-নাতনিদের কাছ থেকে একাধিক গোপনীয়তা লুকিয়ে রেখেছেন। বাড়িটি বিক্রি হওয়ার আগে বাত্ররা সকলেই শেষ হোলির জন্য পুরানো পারিবারিক বাংলোতে জড়ো হয়।

ফ্যামিলি ড্রামায় প্রবীণ অভিনেতা এমন একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন যিনি তাঁর নাতনির কাছে খুলে বলেন যে তাঁর মতো তিনিও ছোটবেলায় এক মহিলার প্রেমে পড়েছিলেন। গত বছর মার্চে ডিজনি+ হটস্টারে মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি।