গোয়ার পানজিমে চলছে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অফ ইন্ডিয়া। চলতি বছর ইফি-তে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানানো হচ্ছে কিংবদন্তি শিল্পী মহম্মদ রফিকে। তাঁকে সম্মান জানাতে একটি প্যানেল আলোচনার অংশ হিসাবে, বর্ষীয়ান অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর আর সোনু নিগমকে একমঞ্চে পাওয়া গেল। আর সেখানে রফি স্মরণের পাশাপাশি একসঙ্গে গলাও মেলালনেন দুজনে। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। আরও পড়ুন-‘এতটা কষ্ট….’, বাবা-মা'র কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ভাসালেন রচনা, সামলাতে ছুটলেন জোজো
শর্মিলা-সোনু একসঙ্গে গাইলেন
অল ইন্ডিয়া রেডিও নিউজের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেল থেকে শেয়ার করা একটি ভিডিওতে, সোনুকে শক্তি সামন্তের ১৯৬৭ সালের কাল্ট রোমান্টিক থ্রিলার ‘অ্যান ইভিনিং ইন প্যারিস’-এর জনপ্রিয় গান আসমান সে আয়া ফারিশতা গাইতে দেখা যায়। মহম্মদ রফির এই গানেই ফুটে উঠেছিল শাম্মি কাপুর এবং শর্মিলা ঠাকুরের রোম্যান্স। বিকিনিতে বঙ্গললনা শর্মিলাকে দেখে ঝড় উঠেছিল কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত।
সোনু যখন গানটি গাইছেন, তখন পাশে বসা তাঁর সহকর্মী গায়ক অনুরাধা পাড়োয়াল তাঁকে ইশারা করেন শর্মিলা ঠাকুরকেও এই গানে যোগদানে ডাক দিতে। গান গাইতে গাইতে সোনু হেঁটে মঞ্চে বসা শর্মিলার কাছে যান। ‘কহো পেয়ার হ্যায় তুমসে?’, এই লাইন গেয়ে মাইকটি শর্মিলার দিকে ঘুরিয়ে দেন সোনু, তখন ‘যা, যা’ গেয়ে ওঠেন অভিনেত্রী। দর্শকরা সোনুর সুরেলা কণ্ঠ এবং শর্মিলার স্পোর্টিং স্পিরিটের প্রশংসা করেন। তাদের সহকর্মী প্যানেলিস্ট - অনুরাধা পাড়োয়াল এবং প্রবীণ চলচ্চিত্র নির্মাতা সুভাষ ঘাইও করতালি ভরিয়ে দেন।
রফি তাঁর কর্মজীবনে বিভিন্ন ভারতীয় এবং বিদেশী ভাষা মিলিয়ে প্রায় ৭,০০০ এরও বেশি গান গেয়েছিলেন। এ বছর তাঁর শততম জন্মবার্ষিকী। ১৯৮০ সালে মাত্র ৫৫ বছর বয়সে তিনি মারা যান। তিনি নাসির হুসেনের ১৯৭৭ সালের পটবয়লার হাম কিসিসে কম নাহিন থেকে চিরসবুজ ট্র্যাক কেয়া হুয়া তেরা ওয়াদার জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। ১৯৬৭ সালে ভারত সরকার মহম্মদ রফিকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করে।
শর্মিলা ঠাকুরকে সর্বশেষ গত বছর রাহুল ভি চিত্তেলার পারিবারিক নাটক গুলমোহরে দেখা গিয়েছিল। এরপর আগামিতে দেখা যাবে সুমন ঘোষ পরিচালিত বাংলা ছবি 'পুরাতন' ছবিতে। এই ছবির হাত ধরেই ১৫ বছর পর বাংলা চলচ্চিত্রে ফিরছেন পতৌদির বেগম। গত মাসে মামি মুম্বাই ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সিনেমাটির প্রিমিয়ার হয়েছিল।