জন্ম ‘ঠাকুর’ পরিবারে। সত্যজিৎ রায়ের 'অপুর সংসার' ছবির হাত ধরে অভিনয় দুনিয়ায় পা রাখেন শর্মিলা ঠাকুর। কেরিয়ারের পরবর্তী পর্যায়ে নবাব মনসুর আলি খান পতৌদির সঙ্গে শর্মিলার সম্পর্ক, প্রেমের কথা বেশ চর্চিত ছিল। ১৯৬৮ সালে নবাব মনসুর আলি খান পতৌদিকে বিয়ে করেন শর্মিলা। তিনি এই বিয়ের জন্য ধর্মান্তরিত হন বলেও শোনা যায়। নাম হয় আয়েশা খান। সম্প্রতি মা দিবসের এক অনুষ্ঠানে মনসুরের সঙ্গে আলাপ ও বিয়ে নিয়ে স্মৃতির পাতা থেকে নানান কথা বলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী।
শর্মিলা জানান, তিনি ভারতীয় দলের ক্রিকেট ম্যাচের পর একটা পার্টিতে টিমের সকলের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। কমন ফ্রেন্ডের মাধ্যমে মনসুর আলি খান পতৌদির সঙ্গে আলাপ হয়েছিল তাঁর। সেসময় শর্মিলার পাশে বসেছিলেন তাঁর নাতনি, সারা আলি খান। স্বামীর কথা বলতে গিয়ে শর্মিলা জানান, মনসুর আলি খান তাঁকে বিয়ের পর রান্নাঘরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে স্বামীর কথায় নাকি সরাসরি ‘না’ বলে দেন শর্মিলা।
ঠিক কী ঘটেছিল, সে প্রসঙ্গে শর্মিলা ঠাকুর বলেন, ‘আমার স্বামী আমাকে বলেছিলেন তোমাকে অন্তত দিনে তিনবার রান্নাঘরে যেতে হবে। আমি বললাম টাইগার, এটা খুব খারাপ আইডিয়া। আমি রান্নাঘরে গেলে খুব একটা ভালো কিছুই হবে না। আমি হয়ত জিগ্গেস করতেই থাকব এটা নয়, ওটা কোথায়! (ইয়ে নাই হ্যায়, ওহ কাহা হ্যায়)। হয়ত কোনও কর্মীরা আমার কাজকর্মে কাজ ছেড়েই চলে যাবেন। তার থেকে ভালো আমি রান্নাঘর থেকে দূরে থাকি’।
শর্মিলা ঠাকর আরও বলেন, ‘আমাকে বলে কোনও লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত তিনি (মনসুর আলি খান) হাল ছেড়ে দিয়ে নিজেই রান্না করতে শুরু করেন। উনি ভীষণই বুদ্ধিমান ছিলেন। তবে তিনি নানান ধরনের দারুণ সব জিনিস বানাতে শুরু করেন, আর তাতে তিনি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছিলেন। এরপর তিনি (মনসুর আলি খান) নতুন নতুন রেসিপির জন্য লোকজনকে ডাকাডাকি শুরু করেন। ডাকতে শুরু করে। কখনও ইউটিউব দেখেন আবার কখনও বন্ধুদের জিগ্গেস করেন। একবার আমি লন্ডনে ছিলাম, কেউ ফোন করে বলেছিল উনি (মনসুর আলি খান) আমাদের চমৎকার খাবার খাইয়েছেন। বলেন, উনি আমাকে রান্নাঘরে না যেতে দিয়ে আসলে ভালোই করেছেন।’
প্রসঙ্গত, শর্মিলা ঠাকুর ও নবাব মনসুর আলি খান পতৌদির তিন সন্তান সইফ আলি খান, সোহা আলি খান, সাবা আলি খান।