স্বনামধন্য ক্রিকেটার মনসুর আলি খান পতৌদি ও তাঁর স্ত্রী শর্মিলা ঠাকুরের বিয়ের সিদ্ধান্ত রীতিমতো চমকে দিয়েছিল গোটা বিনোদন জগতকে। বরাবরই খোলা মনের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। কিন্তু শর্মিলার উপরেই অভিযোগ আছে, ছেলে প্রথম স্ত্রী অমৃতা সিং-এর সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের। কিন্তু ছেলের দ্বিতীয় বউকে দু হাত খুলে স্বাগত জানিয়েছিলেন সইফের মা।
মাত্র ২১ বছর বয়সে অভিনেত্রী অমৃতা সিংহকে বিয়ে করেছিলেন সইফ আলি খান। আর অমৃতার বয়স তখন ৩১। এই বিয়ে করার আগে মায়ের অনুমতিই নেননি সইফ। বরং, বিয়ের পর ফোনে জানিয়েছিলেন তিনি অমৃতাকে। ১৯৯১ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন দুজনে। এরপর দুই সন্তান সারা ও ইব্রাহিমের।
এর আগে কফি উইথ করণে এসে শর্মিলাকে বলতে শোনা যায়, ছেলের না বলেকয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্তে কেঁদে ফেলেছিলেন তিনি। থামছিলই না চোখের জল। ছেলেকে বলেছিলেন, ‘তুমি আমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছ’।
এরপর ২০০৪ সালে অমৃতার সঙ্গে ডিভোর্স হয় সইফের। আর এই বিচ্ছেদের জন্য সেইসময় অনেকেই দায়ি করেছিলেন শর্মিলাকে। যা নিয়ে পরে কফি উইথ করণেই শর্মিলা বলেন, ‘ওটা খুব একটা সহজ পরিস্থিতি ছিল না। বিশেষ করে কেউ যখন অনেকটা সময় একসঙ্গে থেকেছে। আর ওরকম মিষ্টি মিষ্টি সন্তান থাকে। দুজনের মধ্যে সেই সময় সম্পর্ক খুব একটা সুরেলাও ছিল না। ওরকম পরিস্থিতিতে সেটা হওয়াও তো সম্ভব নয়। কারণ দুজনেই আঘাত পেয়েছে। পরিস্থিতি তাই সেইসময় খুব একটা ভালো ছিল না। আমি আমার মতো করে চেষ্টা করেছিলাম। ওর (অমৃতার) ঠান্ডা হতে একটু সময় লেগে গিয়েছিল।’
তবে করিনার সঙ্গে শর্মিলার বিবাদের খবর কখনো আসেনি। বরং শোনা যায়, ছেলের দ্বিতীয় স্ত্রীকে আপন করেছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। একবার তাঁকে বলতে শোনা যায়, কাউকে (ছেলে-মেয়ে-বউমা-জামাই) কোনও মেসেজে করলে সবার আগে ঝটপট সেটার উত্তর দেন করিনাই। মেসেজ করে কিছু জানতে চাইলে, সইফ বরং অনেকটা সময় নেন তার জবাব দিতে।
এমনকী, করিনার পডকাস্ট ‘হোয়াট উইমেন ওয়ান্ট’-এ এসে শর্মিলাকে মেয়ে আর ছেলের বউয়ের কী পার্থক্য তা সুন্দর করে বুঝিয়ে বলতে দেখা গিয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, ‘কন্যা এমন একজন যে আপনার কাছে বড় হয়েছে। সুতরাং আপনি তার মেজাজ জানেন, আপনি জানেন কি তাকে রাগিয়ে দেবে। কীভাবে সেই ব্যক্তির সঙ্গে আচরণ করতে হবে। আর আপনি যখন আপনার পুত্রবধূর সঙ্গে দেখা করছেন তখন তিনি একজন প্রাপ্তবয়স্ক এবং আপনি তার মেজাজ কেমন তা জানেন না। তাই মিলমিশ হতে সময় লাগে। আপনার পুত্রবধূ, আপনার বাড়িতে নতুন পরিবেশে আসছে, তাই আপনাকেই তাঁকে স্বাগত জানাতে হবে এবং তাকে এমন একটা পরিবেশ দিতে হবে যা তাঁর জন্য আরামদায়ক।’