কাপুর পরিবারেও এক সময়ে নাকি দেখা গিয়েছিল চূড়ান্ত অর্থনৈতিক অভাব। দৈন্যদশা হয়েছিল প্রয়াত কিংবদন্তি অভিনেতা শশী কাপুর-এর। এবং তা এতটাই যে বিক্রি করতে হয়েছিল তাঁর সাধের স্পোর্টস কার-ও! শুধু তাই নয়, অভাবের মাত্রা বেড়ে যাওয়াতে একটা সময়ে 'বিভিন্ন জিনিসপত্র'-ও বিক্রি করতে শুরু করেছিলেন শশী ও তাঁর পত্নী জেনিফার কেন্ডেল। কয়েক বছর আগে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই বিষয়টি জানিয়েছিলেন শশী-পুত্র কুনাল কাপুর নিজেই।
রেডিফ।কম-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কুনাল জানান, 'ধর্মপুত্র ছবির সুবাদে বলিউডে পথ চলা শুরু করেছিলেন বাবা। তবে সেই সময়ে একেবারে আনকোরা নায়ক হওয়াতে তাঁর সঙ্গে কাজ করতে কোনও নায়িকারা রাজি হননি। একমাত্র নন্দা ছাড়া। সেই সময়ে বলিউডে অন্তিম জনপ্রিয় ও বিখ্যাত তারকা ছিলেন নন্দা। যাই হোক, ক্রমে পরিস্থিতি খারাপের এদিকে যায়। এতটাই অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল আমাদের পরিবারকে যে নিজের সাধের স্পোর্টস কারটি পর্যন্ত বিক্রি করে দিয়েছিলেন বাবা। কারণ সংসারে তেমন কোনও যায় ছিল না। এছাড়াও ঘরের টুকিটাকি জিনিসপত্র বিক্রি শুরু করেছিলেন উনি এবং মা। জীবনে প্রচুর ওঠানামার সাক্ষী থেকেছেন তাঁরা। যদিও তাঁর আঁচ আমাদের গায়ে লাগতে দেননি তাঁরা। এরপর ছবিটা পাল্টায় ১৯৭১ সালে। 'শর্মিলি' সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি বাবাকে।'
কথায় কথায় কুনাল আরও জানিয়েছিলেন, বাবা তাঁর সারা কেরিয়ারে একটিমাত্র ছবিই পরিচালনা করেছিলেন। অমিতাভ বচ্চন-ঋষি কাপুর অভিনীত সে ছবির নাম ছিল ‘আজুবা’। আসলে, বাবা তো একজন অভিনেতা ছিলেন। কোনওদিনই ব্যবসাপত্র ঠিক বুঝতেন না তিনি। তাই আর পরবর্তী সময়ে পরিচালনায় আগ্রহ দেখাননি তিনি। যদিও সেই ছবির সেটে দারুণ হুল্লোড় হত।'
প্রসঙ্গত, যশ চোপড়ার পরিচালনায় ১৯৬১ সালে 'ধর্মপুত্র' ছিল শশী কাপুরের ডেবিউ ছবি। সেই ছবিতে শশী ছাড়াও ছিলেন মালা সিনহা , নিরূপা রায়, অশোক কুমারের মতো সেই সময়ের বলিউডের সব নামজাদা ব্যক্তিত্বরা।