বিরাট জনপ্রিয় বলি-তারকা হওয়া সত্ত্বেও প্রথম থেকেই নিজের ব্যক্তিগত জীবনকে লাইমলাইট থেকে সযত্নে আড়ালে রেখেছিলেন শশী কাপুর। হাতে গোনা কয়েকবার মাত্র সাক্ষাৎকারে নিজের স্ত্রী জেনিফার কেন্ডাল এবং নিজের প্রেমপর্ব নিয়ে মুখ খুলেছিলেন প্রয়াত এই জনপ্রিয় তারকা। তাও যতটুকু না বললেই নয়,ততটুকু। সম্প্রতি একটু ফ্যান পেজ অ্যাকাউন্ট থেকে শশীর এক পুরনো সাক্ষাৎকারের ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে নিজের মাথার চুলে পাক ধরা থেকে শুরু করে স্ত্রী জেনিফারকে নিয়ে হালকা চালে নানান কথা শেয়ার করছেন তিনি।
সেই সময় এই কিংবদন্তি অভিনেতার বয়স ছুঁয়েছিল ৪৬-এর কোঠা। ওই সাক্ষাৎকারে প্রশ্নকর্তা যখন শশীর মাথার চুলে পাক ধরা নিয়ে প্রশ্ন করলেন তার জবাবে 'দিওয়ার' ছবির এই তারকা বলছেন, 'দেখুন, সত্যি কথা বলতে কী আমার মাথার বেশির ভাগ চুলেই পাক ধরেছে। তা ঢাকতে কলপ করা হয়েছে। স্রেফ জুলফি দুটো বাদ পড়ে গিয়েছে।'সামান্য থেমে তিনি আরও বললেন, 'অনেক বয়স হয়ে গিয়েছে আমার। বুড্ডঢা হয়ে গিয়েছি। দেখতে দেখতে ৪৬ হয়ে গেল।'
এরপরেই কথা প্রসঙ্গে জেনিফারের কথা উঠলে শশী জানান কখনও কখনও তাঁর মনে হয় যে জেনিফারের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়তো ১০০ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। সেই শুনে প্রশ্নকর্তা হালকা চালেই বলেন যে হয়তো পূর্বজন্ম থেকে জেনিফার এবং শশীর কোনও সম্পর্ক রয়েছে। শোনামাত্রই হাসি মুখে শশীর ঝটপট জবাব, 'আমার তো মনে হয় আমাদের আগামী জন্মেও একইসঙ্গে থাকব আমরা। আর এই কথা এইকিছুদিন আগে আমি জেনিফারকেও বলেছি।'
প্রসঙ্গত, ১৯৫৮ সালে বিয়ে হয়েছিল শশী এবং জেনিফারের। শশী তখন বছর কুড়ির যুবক এবং জেনিফার ২৬। টানা ২৬ বছর সংসার করার পর ১৯৮৪ সালে প্রয়াত হন জেনিফার। এরপর আর বিয়ে করেননি শশী।
এই ভিডিয়ো দেখে মন ভিজেছে নেটপাড়ার। কমেন্ট বক্সে কেউ কেউ বলছেন অল্প বয়সে জেনিফারের মৃত্যুতে যে কতটা শোক পেয়েছিলেন শশী তা কেবল উনিই জানেন। আমৃত্যু সেই শোক বুকে বহন করে চলেছিলেন শশী। নজর কেড়েছে অন্য এক ফ্যানের কমেন্টও, 'আমি ভেবে অবাক হই কেন শশী কাপুরকে তাঁদের সময়ের সেরা হার্টথ্রব হিসেবে মেনে নেওয়া হয়নি! তাঁদের সময়ের সব থেকে রূপবান অভিনেতা ছিলেন তিনি।'