পুজোর প্যান্ডেলে কান পাতলে যেসব গানগুলো শোনা যায় তার মধ্যে অন্যতম হল 'ঢাকের তালে কোমর দোলে', ‘ঢাকের ঢ্যাং কুড়াকুড়'। পুজোয় এই গানে কোমড় দুলিয়েছে এমন বাঙালি সংখ্যা নেহাত কম নয়। এমনকী অভিজিৎ ভট্টাচার্যের গাওয়া এই গানগুলো এখনও সমান ভাবে জনপ্রিয়। বহু বছর পর গায়ক আবার বাংলা ছবিতে পুজোর গান নিয়ে ফিরছেন ‘শাস্ত্রী’-এর হাত ধরে। আর সঙ্গে ১৬ বছর পর এবার জুটিতে পর্দায় ধরা দিতে চলেছেন মিঠুন চক্রবর্তী ও দেবশ্রী রায়। বুধবার মহালয়ার দিন প্রকাশ্যে এল চলতি বছরের পুজোর ‘শাস্ত্রী’-এর পুজোর গান 'ঢ্যাং কুড়াকুড় তাক'।
কিছু দিন আগেই ছবির ট্রেলার মুক্তি পেয়েছে। সেখানে একেবারে চেনা ছন্দে দেখা গিয়েছে মিঠুন চক্রবর্তীকে। আর এবার গানেও বজায় থাকল সেই চমক। ‘শাস্ত্রী’ বেশেই 'ফাটাকেষ্ট'-এর বিখ্যাত সংলাপ শোনা গেল পুজোর গানের শুরুতেই। সেই দরাজ কন্ঠে অভিনেতা বলে উঠলেন ‘ফাটাকেষ্ট খবর দেখে না, খবর পড়ে না, খবর তৈরি করে।’ কী ভাবছেন, এই ছবিতে তিনি 'ফাটাকেষ্ট' রূপেও ধরা দেবেন নাকি? না না বরং উল্টো, এখানে 'ফাটাকেষ্ট' তাঁর প্রতিদ্বন্দী। 'ফাটাকেষ্ট'-এর দুর্গাপুজোকে টক্কর দিতে মরিয়া ‘শাস্ত্রী’। তবে কেবল মিঠুন-ময় নয় এই গান, সঙ্গে বেনারসীতে উজ্জ্বল দেবশ্রী রায়ও নজর কেড়েছেন। পুজোর গানে তাঁদের একসঙ্গে তাল মেলাতেও দেখা গিয়েছে। সঙ্গে খোশ মেজাজে ধরা দিয়েছেন সোহম-সৌরসেনীও। ছবিতে নেগেটিভ চরিত্র হলেও পুজোর গান থেকে বাদ পড়েননি রজতাভ দত্ত। তিনিও মিঠুন-সোহমের সঙ্গে ধুনুচি হাতে মাতিয়েছেন আসর।
আরও পড়ুন: দুর্ঘটনায় ক্ষতবিক্ষত হয়েছিল মুখ, সেই ঘটনায় মহিমাকে কীভাবে উদ্ধার করেছিলেন অজয়
প্রসঙ্গত, ১৬ বছর পর শাস্ত্রীতে আবার একসঙ্গে ধরা দেবেন মিঠুন চক্রবর্তী ও দেবশ্রী রায়। সঙ্গে থাকবে নানা নস্টাজিয়ার ছোঁয়া। অভিনেত্রীর মতে, 'দর্শকরাও আমাদের এই মিঠুন-দেবশ্রী জুটি দেখতে পছন্দ করেন। আমার মতে এই ধরনের বাংলা ছবি এর আগে হয়নি। এই পরিস্থিতিতে যাঁরা বাংলা ছবি দেখবেন ভাবছেন তাঁদের অনুরোধ করব 'শাস্ত্রী' দেখার জন্য।' পাশাপাশি মিঠুন চক্রবর্তী প্রসঙ্গে অভিনেত্রী জানান, এত বছর পর কাজ করতে গিয়েও প্রিয় মিঠুনদার মধ্যে কোনও বদল দেখেননি নায়িকা।
আরও পড়ুন: ফ্যাশন ডিজাইনার মণীশ মালহোত্রার শোস্টপার কার্তিক-তৃপ্তি! সঙ্গে চমক দিলেন হিনা খানও
ছবিতে মিঠুন চক্রবর্তী, দেবশ্রী রায়, রজতাভ দত্ত, সৌরসেনী মৈত্র এবং সোহম চক্রবর্তী ছাড়াও রয়েছেন শাশ্বত চট্টোাপাধ্যায়, অনির্বাণ চক্রবর্তী। তবে সোহম কেবল এই ছবির একটি গুরুত্বপূর্ণ মুখ নন, তিনি এই ছবির প্রযোজকও বটে। সুরিন্দর ফিল্মসের সঙ্গে এই ছবি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছেন তৃণমূল বিধায়ক।